31 C
আবহাওয়া
৪:৫০ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পুলিশ খুঁজছে কয়েকশ টিকটকারকে

পুলিশ খুঁজছে কয়েকশ টিকটকারকে

পুলিশ খুঁজছে কয়েকশ টিকটকারকে

বিএনএ, ঢাকা : ভারতে পাচার হওয়া এক কিশোরী নির্যাতন ও বন্দিদশা থেকে পালিয়ে দেশে ফিরে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে করা মামলায় ১২ আসামির মধ্যে তিনজনকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এছাড়া পুলিশের সন্দেহের তালিকায় থাকা কয়েকশ টিকটকারকে খুঁজছে পুলিশ।

জানা যায়, টিকটক গ্রুপ খুলে সেখানে পোস্ট করা হতো অশ্লীল ভিডিও। সেই ভিডিওতে যেসব নারী লাইক-কমেন্ট বা শেয়ার করতেন প্রথমে তাদের টার্গেট করা হতো। যারা টার্গেট করতেন তাদের টিকটক আইডিতে লাখ লাখ ফলোয়ার থাকত। পরে দেখানো হতো ভিডিও তৈরি করে টিকটকে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রলোভন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও বানিয়ে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকশ টিকটকারকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে পুলিশের সাইবার ইউনিট।

সম্প্রতি ভারতে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনা তদন্তে নেমে এসব টিকটকারকে চিহ্নিত করা হয়। টিকটকের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই পাচারকেন্দ্রিক অপচেষ্টা শুরু হয়। উঠতি বয়সী কিশোরী-তরুণীদের মডেল বা স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে পাচার করছে একটি চক্র। এজন্য আমরা টিকটককে নেগেটিভলি দেখছি। টিকটক-কেন্দ্রিক অপচেষ্টা বন্ধে আমরা জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে পাচারকারীদের ধরতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। র‌্যাব একটি চক্রকে ধরেছে যারা ইতোমধ্যে ভারতে প্রায় ৫০০ নারী পাচার করেছে। ওই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের সংবাদমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে এবং প্রলোভন দেখিয়ে নারী ও তরুণীদের পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করত। মূলত যৌনবৃত্তিতে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে পাচার করা হতো তাদের। পাচারের পর তাদেরকে বিভিন্ন নেশা জাতীয়/মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে জোরপূর্বক অশালীন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করত যাতে তারা এ ধরনের কাজে বাধ্য হয় জানায় র‌্যাব। দেশি-বিদেশিসহ প্রায় ৫০ জন সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে তারা জড়িত রয়েছে। এই চক্রের মূলহোতা রাফি এবং গ্রেপ্তার অন্য সদস্যরা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এছাড়া ভারতে গ্রেপ্তারকৃত টিকটক হৃদয় তার অন্যতম সরবরাহকারী বা এজেন্ট। এছাড়া তার আরও এজেন্ট বা সরবরাহকারী রয়েছে।

বিএনএনিউজ/জেবি

Loading


শিরোনাম বিএনএ