বিএনএ ডেস্ক : রাজধানীর লালবাগে বাসা থেকে মমতাজ বেগম (৫৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি হাজী ইব্রাহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। মৃত্যুর আগে মমতাজ বেগম স্বামীকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতের দিকে আজিমপুর সরকারি কলোনির ২৮ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, মৃত্যুর আগে মমতাজ বেগম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছিলেন। এতে তিনি দাবি করেন, তার স্বামী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফা।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পুরো ঘটনা রহস্যে ঘেরা, এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মমতাজ বেগম বরিশালের ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ঢাকায় একা বসবাসরত এই শিক্ষিকা আজিমপুর সরকারি কলোনির বরাদ্দপ্রাপ্ত একটি বাসায় থাকতেন। তার চাকরির মেয়াদ ছিল আর মাত্র এক বছর চার মাস। নিহত মমতাজ বেগম বাসার দুটি রুম ভাড়া দিয়েছিলেন ছাত্রীদের কাছে। তবে দুই মাস আগে তিনি ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেন। মৃত্যুর সময় তিনি একাই বাসায় থাকতেন।
ইব্রাহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘মৃত্যুর আগে মমতাজ বেগম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন তার ব্যক্তিগত জীবনের চরম হতাশা ও স্বামী আতিউল্লাহ রতনের বিশ্বাসঘাতকতার কথা।
তিনি লেখেন, স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফেসবুক পোস্টটি তার মানসিক যন্ত্রণার প্রতিফলন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তার মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর সঠিক তদন্ত দাবিও করেন তিনি।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি/এইচমুন্নী