24 C
আবহাওয়া
৯:২৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম মহানগরে ২০২০ চেয়ে ২১ সালে কমেছে খুন : এক বছরে ৫৪

চট্টগ্রাম মহানগরে ২০২০ চেয়ে ২১ সালে কমেছে খুন : এক বছরে ৫৪

চট্টগ্রাম মহানগরে ২০২০ চেয়ে ২১ সালে কমেছে খুন : এক বছরে ৫৪

বিএনএ, চট্টগ্রাম : ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে খুনের মতো ঘটনা কমেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। গত এক বছরে  চট্টগ্রাম মহানগরীতে খুন হয়েছে ৫৪ জন।  মহানগরীর ১৬ থানা এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এর আগের বছর(২০২০) খুন হয়েছিল ৮১ জন। প্রাপ্ত তথ্যের ফলাফল বিশ্লেষণে দেয়া যায়, গত এক বছরে মহানগরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি ঘটেছে।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ(সিএমপি)র সূত্র জানিয়েছে, মহানগরী ১৬ থানায় ৫৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় ৩টি, বায়েজিদ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ৪টি, চান্দগাঁও থানায় ৬টি, চকবাজার থানায় ৩টি, হালিশহর থানায় ৬টি, বাকলিয়া থানায় ২টি, ডবলমুরিং থানায় ৪টি, আকবরশাহ থানায় ৩টি, পাহাড়তলী থানায় ৪টি, পতেঙ্গা থানায় ৩টি, ইপিজেড থানায় ২টি, বন্দর থানায় ২টি, কর্ণফুলী থানায় ৪টি, কোতোয়ালী থানায় ৪টি, সদরঘাট থানায় ২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি মায়ের সামনে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই মুন্না খুন হওয়ার মধ্যদিয়ে বছর শুরু হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক) নির্বাচনের দিন পাহাড়তলীর সরাইপাড়ায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এ ঘটনায় মা জিন্নাত আরা বেগম ছেলে কামরুলের ফাঁসির দাবি করেছেন।

গত ১০ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে রুবেলের বড়ভাই চালক মো. ইয়াছিন এর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালক মো. ইয়াছিন লোকজন নিয়ে আসার জন্য তার ভাই মো. রুবেল কে ফোন করে। কথিত রুবেল ও তার সহযোগী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। আর এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বছর শেষ হয়।

এসব প্রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত। হত্যামামলাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রতিটি হত্যার ঘটনায় উঠতি বয়সের ছেলেরা জড়িত। এলাকায় রাজনৈতিক, মাদক ও অধিপত্য বিস্তারে খুনের ঘটনাগুলো ঘটেছে। এছাড়া ইভটিজিং,পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জেরেও কয়েকটি খুনের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রামে একবছরে ১ হাজার ৩৭৫টি ছিনতাই মামলা

এছাড়া গত এক বছরে নগরীর ১৬ থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ৩৭৫টি মামলা হয়েছে। এতে দুই হাজারেরও অধিক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।

২০২০ সালে নগনীর ১৬ থানায় নানা অপরাধে মামলা হয়েছিল ৬ হাজার ২৭০টি।  এরমধ্যে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪টি।  হত্যা মামলা হয়েছে ৮১টি। এছাড়া ডাকাতি ২টি, দস্যুতা ৮১টি, দ্রুত বিচার আইনে ১০৬টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের দায়ে ৭৯৭টি, অপহরণ ১১টি, পুলিশ আক্রান্ত ১৬টি, সিধেঁল চুরি ১১৫টি, চুরি ১৮৮টি, অজ্ঞান পার্টি ১টি, অস্ত্র মামলা ৪০৭টি, বি:দ্রব্য ৯টি, চোরাচালান অভিযোগে ৩০টি ও অন্যান্য ১৪৯০টি। ওই বছরের ৩ জানুয়ারি সিএমপির ক্রাইম শাখা থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছিল।

বিদায়ী ২০২১ সালের হত্যা, মাদক, অস্ত্র মামলা, দ্রুত বিচার, পুলিশ আক্রান্ত, দস্যুতা, চুরি, সিধেঁল চুরি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, ডাকাতি, অপহরণ, চোরাচালান, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত মামলার বার্ষিক প্রতিবেদন চাওয়া হয় সিএমপির ক্রাইম শাখায়। এখনও এ প্রতিবেদন তৈরি হয়নি বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে সিএমপির ক্রাইম শাখার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার শাহাদাৎ হুসেন রাসেল বলেন, এখনও সিএমপির ক্রাইম শাখার বার্ষিক প্রতিবেদন  তৈরি হয়নি। এ প্রতিবেদন তৈরি করতে একটু সময় লাগে। প্রতিবেদন তৈরি হলে জানানো হবে। তবে, চলতি মাসের শেষে দিকে ক্রাইম শাখার প্রতিবেদন তৈরি হতে পারে বলে তিনি জানান।

বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ