বিএনএ,চট্টগ্রাম: ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৈতিক মৃত্যুদণ্ড হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বুদ্ধিজীবী ও রাষ্ট্রচিন্তক সলিমুল্লাহ খান।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আবুল মনসুর আহমদের রাষ্ট্রচিন্তা: প্রেক্ষাপট গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রচিন্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সংবিধানের সাত নম্বর ধারায় আওয়ামী লীগ সরকার একটি সংশোধনী এনেছে- যে কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চাইলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ শাস্তি হাসিনারই প্রাপ্য। সে যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, তার নৈতিক মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।’
বিদ্যমান সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে আবুল মনসুর আহমেদ কিছু আপত্তি তুলে ধরেছিলেন তার বইয়ে। এই গণঅভ্যুত্থানের পর সেগুলো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। শেখ মুজিবকে আবুল মনসুর সংবিধান সংশোধনের আহ্বান করেছিলেন। শেখ মুজিব কথা দিতেন, কিন্ত কথা রাখতেন না। সংবিধান সংশোধনের কথাও তিনি শতভাগ প্রত্যাখান করেন।’
‘বাংলাদেশের সংবিধান এখন অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এতে বলা হয়েছে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ, এটি একটি বড় জোচ্চুরি। এখানে হওয়া উচিত ছিল জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। আর এটি না হওয়ার কারণেই প্রতিনিধিত্বের রাজনীতি হচ্ছে। সরকার হয়েছে পাওয়ার অব এটর্নি। সকল ক্ষমতার উৎস নয়, মালিক জনগণ, যেন সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া যায় এমন সুযোগও থাকে।’
রাষ্ট্রচিন্তা চবি’র উপদেষ্টা শিক্ষক আর রাজীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য তানভীন কায়েসের সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান, আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক কবি ইমরান মাহফুজ বক্তব্য রাখেন।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/এইচমুন্নী