বিএনএ, কক্সবাজার: দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হচ্ছে কক্সবাজার। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দরের রানওয়েতে এখন অবাধে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। গরু-ছাগল চরানোর অনুমতি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। আর বিমান বন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উড্ডয়নের সময় বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের পাখার ধাক্কায় দুটি গরুর মৃত্যু হয়। অলৌকিক ভাবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ৯৪ যাত্রীসহ বিমানটি রক্ষা পাওয়ার পর কক্সবাজার বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গরুর সঙ্গে ধাক্কার পরও পাইলটের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতায় যাত্রী নিয়ে আকাশে ওড়ে বিজি ৪৩৪ ফ্লাইটটি নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তা কর্মীরা সীমানা টপকে লোকজনের চলাচল, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে গরু-ছাগল চরানোর অনুমতি দেন।
জানা যায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের কিছু অংশ ভাঙা। পাশাপাশি কাঁটাতারের বেড়ার বেশ কয়েক জায়গায় রয়েছে ছেঁড়া। এই পথ দিয়ে প্রতিদিনই ঢুকছে গরু-ছাগল। তেমন কেউ বাধা দেয় না। এমনকি অনেক লোকজনও যাতায়ত করে।
দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা জানান, বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর না থাকায় এবং তারের বেড়ার বেশ কয়েক জায়গায় ছিদ্র থাকায় মানুষ ও গরু-ছাগল বিমান বন্দরে ঢুকে পড়ে। চলাচলকারী মানুষদের নিষেধ করলেও তারা শুনেন না। উল্টো তারা মারতে আসে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বিমানবন্দরে ১২৯ জন আনসার সদস্য ও ৩৪ জন এপিবিএন সদস্য নিয়োজিত। এর মধ্যে দুইজন এপিবিএন রানওয়েতে দায়িত্ব পালন করেন। আগে কক্সবাজার বিমানবন্দর ছোট ছিলো। এখন দেশের সর্ববৃহৎ দীর্ঘতম রানওয়ের বিমানবন্দর করা হচ্ছে। সংস্কার কাজ চলাকালে কিছু কিছু মানুষ চলাচল ও গবাদিপশু ঢুকে যায়। নিরাপত্তাকর্মী কম হওয়ায় সবকিছু দেখতে পারেন না তারা। যদি নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো যায় তবে ভবিষ্যতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
উল্লেখ, ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি উড়োজাহাজের চাকায় পিষ্ট হয়ে এই রানওয়েতে মারা যায় তিনটি কুকুর। ২০১৬ সালে বিমানবন্দরের উত্তরে বঙ্গোপসাগরে একটি কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে বিদেশি পাইলটসহ তিন জনের মৃত্যু হয়।
বিএনএ/ এমএফ