।। আর করিম চৌধুরী ।।
বিএনএ ডেস্ক: প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত আর বেশি দূরে নেই। কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয় এখন গ্রামাঞ্চলে সকালের চিত্র। দূর্বাঘাসের আগায় মুক্তো দানার মতো জ্বলজ্বল করছে শিশির কণা। সূর্যের আলো ফোটার আগেই প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ উপভোগ করতে আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন গ্রামের মানুষ। ফলে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এখনও সেভাবে শীত অনুভূত না হলেও গ্রমাঞ্চলে সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ কিছুটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডা ভাব। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।
গোটা শীত জুড়েই মাঠের পর মাঠে দেখা যাবে রবি শস্যের সমারোহ। ইতোমধ্যে হরেক রকমের শাক-সবজিতে ভরে ওঠেছে গ্রামবাংলা। বাজারে আসতে শুরু করেছে রকমারি সবজি। সেইসঙ্গে উঁকি দিচ্ছে বাহারি ফুল। কামিনী, গন্ধরাজ ও মল্লিকা ফুলে শোভিত প্রকৃতি।
এদিকে, শীত জেঁকে বসার আগেই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। বাড়ির গৃহিণীরাও লেপ, কম্বল বের করতে শুরু করেছেন। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা।
শীত মানেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রস ও নলেন গুড়ের মৌ মৌ গন্ধ। শীতের সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটা তৃপ্তিকর তা বলে বোঝানো যায় না। আর খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েস খুবই মজাদার। এ কারণে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষীর, পায়েস ও পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়িতে খেজুর রসের তৈরি খাদ্যের আয়োজন চলে।
তাই গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচাছোলা ও নলি বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই দেশের বিভিন্ন খাল, বিলসহ জলাশায়গুলোতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে।
তবে, শহরের চিত্র একটু আলাদা। উঁচু-নিচু দালান কোঠার কারণে শীতের আগমনী বার্তা আরও পরে পৌঁছাবে।
বিএনএনিউজ