বিএনএ, চট্টগ্রাম : বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ ও ভাসানচর চ্যানেলের মাঝখানে ২ নম্বর বয়ার কাছে একরাম জুনায়েদ নাম একটি বালি বোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। শনিবার(৩জুরাই) দুপুর দেড়টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া জাহাজের ৫ নাবিককে সাগরে ভাসতে দেখে পোটল্যান্ড গ্রুপের অয়েল ট্যাংকার ওটি চট্টগ্রাম এর নাবিকরা তাদের জীবিত উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া নাবিকরা হলেন, আব্দুল মালেক, শাহীন, জসিম, মেহেদী ও আসাদ।
জানা গেছে, ‘ ডুবে যাওয়া ভাল্কহেডটি ঢাকা থেকে মহেশখালীর মাতারবাড়ি যাচ্ছিল। ভাসানচর চ্যানেল অতিক্রম করার পর এটি প্রচন্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে। এক পর্যায়ে ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে যায়, পরে ভাল্কহেডটি উত্তাল সাগরে ডুবে যায়। ৫ নাবিক ১ ঘন্টা ধরে সাগরে ভাসতে থাকে। ওই পথে পটুয়াখালির পায়রা বন্দর থেকে ফিরছিল পোর্টল্যান্ড গ্রুপের অয়েল ট্যাংকার ওটি চট্টগ্রাম।
‘ওটি চট্টগ্রাম অয়েল ট্যাংকারের সুপারভাইজার নিজাম উদ্দিন রুবেল বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি ( বিএনএ)কে জানান, ‘ আমরা যখন ভাসানচর ২ নম্বর বয়া অতিক্রম করছিলাম তখন দেখতে পাই বেশ কয়েকজন ব্যক্তি লা্ইফ জ্যাকেট নিয়ে সাগরে ভাসছে। বিষয়টি পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদারকে জানালে তিনি দ্রুত ভাসমান লোকজনকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন।
রুবেল বলেন, এ নির্দেশনা পেয়ে উত্তাল টেউ উপেক্ষা করে একে একে ৫ জন নাবিককে আমরা জীবিত উদ্ধার করি’। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পরে চট্টগ্রামে এসে কোস্টগার্ডকে অবহিত করার পর উদ্ধার হওয়া ৪ জনকে বরিশাল এবং ১ জনকে মুন্সিগঞ্জ বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পোর্টল্যান্ড গ্রুপ।
বি এনএ, এসজিএন