বিএনএ ডেস্ক: আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) প্রভাব বিস্তারে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় দলকে পরিবারতন্ত্রের বাইরে রাখতেও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাদের সুযোগ দিতে হবে।’একই সঙ্গে নির্বাচনে দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল থাকারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আগামী ৮ মে শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। প্রথম ধাপে ভোট হবে ১৪৬ টি উপজেলায়।
এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী দেয়নি। মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনদের ভোটে দাঁড়াতেও নিষেধ করেছে দলের হাইকমান্ড। তবে অন্তত ২০ জেলার নানা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনেরা। অভিযোগ উঠেছে, এর লক্ষ্য স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব প্রভাব বলয় তৈরি করা। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মন্ত্রী ও এমপিরা ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে শঙ্কায় আছে নির্বাচন কমিশনও। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ বন্ধে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের অনেক আত্মীয় স্বজন প্রার্থী হিসেবে আছে বলে জানা যাচ্ছে। অতএব যাতে তাঁরা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, কমিশন এ বিষয়টি তাদের (সংসদ) নজরে এনেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে তার থাইল্যান্ড সফর নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনেও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান এবং একে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য। সেখান থেকে যারাই জিতে আসে আসবে। সেটা হলো বাস্তবতা। মানুষ যাকে চাইবে সে-ই জয়ী হয়ে আসবে। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে (ক্ষমতায়) আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/এইচমুন্নী