।। মোহাম্মদ ইয়াসির আফনান।।
বিএনএ, চুয়েট : আড়াই বছরেও শেষ হয়নি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ। ২০২১ সালের নভেম্বরে এ ফটকের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল কাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও ফটক সংলগ্ন সড়কের কার্পেটিং এবং নামফলক বসানো এখনো বাকি।
এদিকে নামফলক না থাকায় বিভ্রান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন আসা অনেকই। এ নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
পুরকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সেগুফতা জাহান বলেন, ফটকটির স্থাপত্যশৈলী বেশ সুন্দর। কিন্তু, এতো দিনেও কাজ শেষ না হাওয়া খুবই দুঃখজনক। প্রায়ই দেখি নির্মাণের কাজ চলে। আশা করি দ্রুতই এ কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে চুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘আসলে এই ফটকের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পুরোপুরি আমাদের দপ্তরের নয়। এতে অর্থায়ন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। নির্মাণ নিয়ে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর। তবে প্রধান ফটকের কাজ প্রায়ই শেষ শুধু নামফলকটি দেওয়া বাকি। নামফলক তৈরি করাও আছে। এখন প্রকৌশল দপ্তর ভালো জানবেন কেন উনারা এখনো দেননি। তবে ডিজাইন বিষয়ক কিছু ঝামেলা থাকতে পারে।”
বাজেট ও ধীর কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে কোন বাজেট স্বল্পতা নেই। আসলে একাধিক বিভাগের আওতায় কাজটি চলছে তাই সমন্বয়ের অভাবে কাজ ধীর হতে পারে। আবার পান্থপথ নির্মাণের কাজও চলছে। সব মিলিয়ে ধীর হতে পারে।’
অন্যদিকে প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘বাজেটের অল্প সংকট আছে, তাই নতুন ডিজিটাল লোগো এখনো করা যায়নি। কিন্তু শীঘ্রই তা হয়ে যাবে। কিছু পুরাতন লোগো আছে। তা যুক্ত করে দেওয়া হবে শীঘ্রই। তাছাড়া মূল ফটকের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্পেটিং সহ আরো কিছু কাজ বাকি আছে। শীঘ্রই সেগুলো সম্পূর্ণ করা হবে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে আসলে ধীর গতিতে কাজ হয়েছে।’
তবে নামফলক কবে বসানো হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, চুয়েটের নতুন প্রধান ফটক নির্মাণ কাজের বাজেট ১ কোটি টাকা। প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আই. এস. ট্রেডিং।
বিএনএ/চুয়েট/এইচ.এম।