বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: ঈদের নামাজ শেষ করে যেই না মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়েছে, অমনি ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে হাওয়ার দাপট। দাপট কোথাও কালবৈশাখীতে রূপ নেয়। এভাবেই ঈদের সকালে বাগড়া দিয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি নেমেছে। যদিও আবহাওয়া অফিস আগেভাগেই জানিয়েছিল ঈদের দিন বৃষ্টি আসার কথা। আবহাওয়ার সেই পূর্বাভাস ফলেও গেছে।
এমনিতে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়েছে রাজধানী। অনেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন, ঈদের নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দেখা করবেন। ফাঁকা রাস্তায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়াটাও যেনো সহজ। কিন্তু বৃষ্টি বিভ্রাটে যেনো ঈদ আনন্দ ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ সারাদিন দেশের বেশিরভাগ এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকবে। বইবে দমকা হাওয়া, যা কালবৈশাখী ঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে। এর সঙ্গে অঝোরে বৃষ্টি হতে পারে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর বিধিনিষেধ ছিল। ফলে উৎসব প্রিয় বাঙালিরা ঈদের আনন্দে মাততে পারেনি। এবার ছিলনা নিয়মের ঘোরাটোপ। ফলে ঈদ আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কিছুটা ভেস্তে গেছে ঈদের দিন সকালের ঝড়-বৃষ্টি।
গত দুই ধরেই প্রকৃতি রুদ্র মূর্তি ধারণ করে আছে। ক্ষণে ক্ষণে বইছে ঝড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হচ্ছে। এরই মাঝে ঈদের বার্তা এসেছে। বৃষ্টির কারণে ঈদ আনন্দ কিছুটা হলেও বিলম্বিত যেনো!
করোনার বিধিনিষেধের মধ্যেই গত দুই বছর চারটা ঈদ কেটেছে বাঙালি মুসলমানদের। এবার করোনা সংক্রমণের হার কমে গেছে। তাই আবদ্ধ জীবন থেকে বের হয়ে এবার মুক্তপ্রাণে পবিত্র দিনটি উদযাপন করার ইচ্ছা মনে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ