36 C
আবহাওয়া
৭:৪৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা


বিএনএ, ঢাকা: করপোরেট ও ব্যক্তিখাতে কর ফাঁকির কারণে বছরে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে কর্পোরেট খাতে কর স্বচ্ছতা ও জাতীয় রাজস্ব এবং বাজেটে প্রভাব শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, একটি যৌক্তিক, স্বচ্ছ ও প্রগতিশীল সুসম কর ব্যবস্থা জাতীয় উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার আয় করে থাকে। সেই আয়ই জাতীয় বিভিন্ন উন্নয়নে ও সামাজিক উন্নয়নে খরচ হয়ে থাকে। এই কর ব্যবস্থা যতটা আধুনিক হবে কর আহরণ ও তত স্বচ্ছতার সাথে হবে, উন্নয়নের জন্য আমরা তত ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা বলে থাকি উন্নয়নে আমাদের বাস্তব জায়গা দরকার। সেই স্পেস তৈরি করতে প্রধান উপায় হলো অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন। অভ্যন্তরীণ সম্পদের সঞ্চালনের প্রধান দিক হলো কর্পোরেট ট্যাক্স। এ জন্য কর্পোরেট করের স্বচ্ছতা নিয়ে আলোচনা জরুরি।

গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, “সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৮% মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর দেওয়ার যোগ্য হওয়ার পরও কর দেন না। কর জিডিপি-র অনুপাত বৃদ্ধি না হওয়ার বড় কারণ এটি। অন্যদিকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে ২ লাখ ১৩ হাজার কোম্পানি রেজিস্ট্রার্ড হলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৪৫ হাজার কোম্পানি।”

তিনি বলেন, “অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এই করের টাকা যদি পাওয়া যেতো, তাহলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় তিন গুণ বৃদ্ধি করা যেতো। অর্থাৎ কর নেট বৃদ্ধির প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। বড় অংশই করের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে কর লস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “কর ফাঁকি দিতে গিয়ে কোম্পানি তার প্রকৃত আয় কম দেখিয়ে থাকে। অন্যদিকে কর এড়ানোর বিষয়টি হলো- লিগ্যাল ফ্রেমের আওতায় সরকারের দেওয়া সুবিধা গ্রহণ করা। আমাদের দৃষ্টিতে এটাও কর অস্বচ্ছতা। কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর দৃষ্টিতে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫২তম। কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। কর এড়াতে গিয়েও কর ফাঁকি দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। আর কর ফাঁকি ৮০% হয়। তার মানে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারায় দেশ। আবার যদি কর ফাঁকি ৫০% ধরা হয়, তাহলে রাজস্ব হারায় ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।”

২০২২ সালের এক রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, “কর ফাঁকির কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪৮৩ বিলিয়ন ডলার কর লস হচ্ছে। এর মধ্যে করপোরেট পর্যায়ে ৩১২ বিলিয়ন ডলার ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১৭১ বিলিয়ন ডলার। যার অভিঘাত স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর বেশি পড়ে। বিশ্ব পর্যায়ে করপোরেট কর হার কমলেও বাংলাদেশে এই হার বেড়েছে।”

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ