বিশ্ব ডেস্ক: গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে চারমাস ধরে। ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৪৮ জন। শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরাইলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে আরো ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৪৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে,– ইসরাইলি এ চলমান আগ্রাসনে গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত এবং খাদ্য, পানি, ও ঔষুধের তীব্র সঙ্কটের সম্মুখীন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে আরব নিউজ জানায়, শনিবার ভোরে গাজা সীমান্ত শহর রাফাতে মারাত্মক হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি সিল করার জন্য কায়রোতে বৈঠকে বসার আগমুহুর্তে রাফা শহরে হামলা হামাসের ওপর একটি নতুন চাপ তৈরি করেছে৷
গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চল, খান ইউনিস থেকে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি পালিয়ে মিশর সীমান্ত সংলগ্ন রাফা শহরে “অধিকাংশ অস্থায়ী কাঠামো, তাঁবুতে বা খোলা জায়গায় বসবাস করছেন। শহরের একজন এএফপি সাংবাদিক শনিবার মধ্যরাতের পরপরই শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরে সেখানে দুটি হামলায় ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে। মন্ত্রাণালয় বলেছে যে রাতারাতি অঞ্চল জুড়ে মোট ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা শনিবার সকালে জানায়, খানইউনিসের ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দফতর এবং আল-আমাল হাসপাতালে গত ১২দিন ধরে ইসরায়েলি সৈন্যরা তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ৪৩ জন নিহত ও ১৫৩ জন আহত হয়েছে। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ক্রু এবং সিভিল ডিফেন্স টিমে প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে।
আল-আমাল হাসপাতালের অভ্যন্তরে মানবিক অবস্থা দুঃখজনক হয়ে উঠেছে, কারণ হাসপাতালটি দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অক্সিজেন, অস্ত্রোপচারের সরবরাহ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতিতে রয়েছে।
বিএনএ,এসজিএন/ হাসনা