বিশ্ব ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপরে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়েছে। মাত্র ৩০ মিনিটে সাতটি অবস্থানে ৮৫ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। বি-১ বোমারু বিমানে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান হামলা চালানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তার নির্দেশে মার্কিন বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় আইআরজিসি ও তাদের সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এসব স্থাপনা মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হতো।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় অন্তত তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হন আরও প্রায় ৪১ জন। হামলার দায় স্বীকার করে ইরান-সমর্থিত ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। এর পরপরই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে,
সিরিয়া ও ইরাকের বেশ কয়েকটি সাইট মধ্যরাতে মার্কিন বিমান হামলার শিকার হয়েছে। সিরিয়ার দেইর ইজোর এবং এর গ্রামাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বোউ কামাল, মায়াদিন এবং সিরিয়া-ইরাকি সীমান্তের আশেপাশের অনেক সাইটকে লক্ষ্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হামলা করা হয়েছে।
এদিকে, ইরাকি মিডিয়া জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে আল-কায়েম এবং আকাশাত শহরগুলিকে লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা করেছে। গাজায় গণহত্যাকারী দখলদার ইসরায়েলের অন্ধ সমর্থনের জন্য ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরাকে বারবার হামলার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলে।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার দুপুরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি থেকে দূরপাল্লার বোমারু বিমান উড়ে যেতে দেখা যায়।
এর আগে পর্যন্ত ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের পক্ষ থেকেই বলা হয়ে আসছিল তারা কেউই যুদ্ধে জড়াতে চায় না।
তবে রোববারের হামলার পর থেকে ধারণা করা হচ্ছিল যে কোন সময় যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলায় যেতে পারে। তবে সরাসরি ইরানের মাটিতে বা লোহিত সাগরে থাকা ইরানের কোন যুদ্ধজাহাজে হামলা করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন : গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে ১৭হাজার শিশু এতিম অসহায়
বিএনএ,এসজিএন/ হাসনা