28 C
আবহাওয়া
৬:৪১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর-এর কমিটি ঘোষণা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর-এর কমিটি ঘোষণা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর

ঢাকা:  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর-এর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) গণভবনের গেটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এই কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও ফিল্ম মেকার ড. এবাদুর রহমান। কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব; লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক; আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইন্সটিটিউট অভ্ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি; নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার এবং ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের আর্কিটেক্ট তানজিম হাসান সেলিম। এছাড়া,  কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবেন।

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন

কমিটি ঘোষণার পর উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, সেগুলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি এই জাদুঘরে ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও সংরক্ষণ করা হবে। জাদুঘরে ‘আয়না ঘর’-এর একটি রেপ্লিকা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবেও এই জাদুঘরকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ  করে বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে জনগণ এই জাদুঘরকে ধারণ করবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্ন

প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল। আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।

সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে

তিনি আরও বলেন, এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলতি সপ্তাহে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের নবগঠিত কমিটি কাজ শুরু করতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ