বিএনএ, ঢাকা : ২ অক্টোবর ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’। “শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) কর্তৃক ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদ্যাপনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা খুবই গুরু্ত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নৈপুণ্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর গুণগতমানের সাথে উৎপাদনশীলতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এজন্য কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের নিকট উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আরও বলেণ, রূপকল্প ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেজন্য প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিএনএ নিউজ ২৪ ডটকম, এসজিএন