বিএনএ ডেস্ক: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মোবাইল এজেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান। দীর্ঘ সাত বছর ধরে কয়েকটি কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করছেন। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর তার ব্যবসায়ে ভাটা পড়েছে। লেনদেন কমার পাশাপাশি গ্রাহকের পরিমাণও কমেছে।
হান্নান বলেন, ‘মানুষের লেনদেন কমেছে। এ কারণে আমাদের ইনকামও কমেছে।’
তার মতো অনেক এজেন্ট ব্যবসায়ীর অবস্থা একই। তারা জানান, গ্রাহকরা লেনদেন করলেও তা আগের তুলনায় কম।
একজন এজেন্ট বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের আগে আমাদের যদি প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা ট্রানজেকশন ছিল, সেখানে এখন সেটা হয়ে গেছে দেড় লাখেরও কম।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মোবাইল ব্যাংকিং খাত। টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ইন্টারনেট চালু হলেও সার্বিকভাবে লেনদেন কমেছে এই খাতে। তবে মোবাইলে আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠান গুলো বলছে, ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াবে এই খাত।
তবে ইন্টারনেট চালু হওয়ার কিছুটা গতি ফিরেছে মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অস্থির এ পরিস্থিতিতে লেনদেন অর্ধেকে নেমেছে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
নগদের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যে সব লেনদেনের সাথে ইন্টারনেটের সরাসরি যোগাযোগ ছিল সে সব লেনদেন কমেছে। আমরা যদি দিনে বলি ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ট্রানজেকশন করি ধরেন, এটা নেমে এসেছে ধরেন ৮০০–৯০০ কোটি টাকায়।’
বিকাশের মূখপ্রাত্র শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘ইন্টারনেট যে কয়দিন সীমিত ছিল বা বন্ধ ছিল এতে অন্যান্য আর্থিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনিভাবে আমাদেরও লেনদেন প্রভাবিত হয়েছে।’
স্বাভাবিক সময়ে সারাদেশে ২২ কোটি মোবাইল অ্যাকাউন্ট গ্রাহক প্রতিদিন গড়ে চার হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করে বলেও জানা গেছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ