বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতাবিষয়ক (এফওএএ) বিশেষ দূত ক্লেমেন্ট ভউল। একই সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
গত সোমবার টুইটারে (এক্স) এক বার্তায় ক্লেমেন্ট ভউল এ আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।’
টুইটে হ্যাশট্যাগ বাংলাদেশ লিখে ক্লেমেন্ট ভউল লেখেন, ‘চলমান বিক্ষোভ সমাবেশে সংঘাত ও গ্রেপ্তারের মাত্রা বাড়ছে, এ অবস্থায় সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ টুইটের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকার একটি চিত্রও জুড়ে দেন জাতিসংঘের এই বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার।
জাতিসংঘ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উৎসাহিত করে
এদিকে জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উৎসাহিত করে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুঁতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক। গত সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ প্রতিনিধির কাছে সাংবাদিক জানতে চান, ‘কথিত (সো-কল্ড) নাগরিক সমাজের কিছু মানুষ এবং কিছু সংগঠন আছে, যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবির বিষয়টি কি আপনি জানেন? ওই সব ‘তথাকথিত’ নাগরিক সমাজ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু নির্বাচিত ব্যক্তি বাংলাদেশে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার সুপারিশও করেছেন।’ তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, ‘বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর ফলে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অবাধে সভা-সমাবেশ করা শুরু করেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের অ্যাসোসিয়েশন কি জাতিসংঘের সঙ্গে যথাযথভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করবে, এ অবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কী?’
ওই সাংবাদিক ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।
জবাবে ফারহান হক বলেন, ‘আপনার প্রশ্নে দুটি অংশ আছে। প্রথমত, নির্বাচন নিয়ে। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উৎসাহিত করে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলব, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও দেশের জনগণ যে উদারতা দেখিয়েছে তার জন্য জাতিসংঘ প্রশংসা জানায়। আমরা আশা করব এই ধারা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদের বিষয়ে মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সদস্য রাষ্ট্রগুলো।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনাহেনা