বিএনএ, যশোর: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের পর এবার যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৪ মেট্রিক টন ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ।
রোববার (২ জুলাই) বিকেলে বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স উষা ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে ৫টি ট্রাকে করে ভারতীয় এসব কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে।
ঈদুল আজহার আগে থেকে সারা দেশের ন্যায় যশোরের খুচরা বাজারেও কাঁচা মরিচের দাম উঠেছে প্রতিকেজি ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। আবার অনেক স্থানে হাজার টাকাও ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
এদিকে মেসার্স উষা ট্রেডিং, এনএস এন্টারপ্রাইজ ও এসএম কর্পোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে। এসব অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স উষা ট্রেডিং-এর স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৫ জুন আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ি) কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। এরপর আমাদের আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
বেনাপোলে কাঁচামরিচের খুচরা ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। রোববার সকালেও বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিতে। এখন আমদানি হচ্ছে, দুয়েক দিনের দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কমবে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ শূন্য দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাস করছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজির মূল্য ৩২ দশমিক ২০ টাকা পড়ে। মোট শুল্ক হার ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস দেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএ/এমএফ