বিএনএ, ডেস্ক: গত তিন বছরের মধ্যে জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি ২ লাখ টাকা। রোববার (২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এসব কথা জানা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে জানা গেছে, জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৩ কোটি ৭ লাখ ৮৫ হাজার ডলার। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৪ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা প্রায় ২০২ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এরপরের কয়েক দিনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। গত মে মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুনে প্রায় ১৮৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এর আগে ২০২১ সালের জুনে এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালের জুনে এসেছিল যথাক্রমে ১৩৬ কোটি ও ১৮৩ কোটি ডলার। সেই হিসেবে সদ্য বিদায়ী জুন মাসে গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
এর আগে গত মে মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এপ্রিলে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এপ্রিলে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠায় ঢাকায়। রেমিট্যান্স আসে ৮০ কোটি ৪ লাখ ডলার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে এসেছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠান ৪৬ কেটি ১৪ লাখ ডলার। আর সিলেট বিভাগে ২০ কোটি ১৭ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৪ কোটি ১৪ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ কোটি ৭ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ২ কোটি ৭১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের মার্চে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসে মাসের ব্যবধানে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। পরে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের অঙ্ক। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
বিএনএনিউজ/বিএম/ এইচ এইচ