বিএনএ, ঢাকা : ভারতে পাচার হয়ে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণীর মামলার পর নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতক্ষীরা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ জুন) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মো. শহিদুল্লাহ জানান, ‘গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাচারে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন— মেহেদী হাসান বাবু, মহিউদ্দিন ও আব্দুল কাদের। এ সময় পাচারের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, একটি ডায়েরি, চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ভারতীয় সিম কার্ড পাওয়া গেছে।’
শহিদুল্লাহ বলেন, ‘হৃদয় বাবুর মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা পাচারের শিকার আরেক নারীর সন্ধান পেয়েছি। তিনি ভারতে পাচারের পরে তিন মাস বন্দিদশায় ছিলেন। সেখানে থেকে পালিয়ে আসেন। গতকাল তিনি হাতিরঝিল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৭, ৮, ১০ ও ১১ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৩। ওই মামলার এজাহারনামীয় ১২ আসামির মধ্যে পাঁচ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ভারতের বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি বাংলাদেশের এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। শারীরিক নির্যাতনের সময় ২২ বছরের ওই তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণও করা হয় বলে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়। ওই ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ ছয় জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে টিকটক হৃদয় বাবুসহ দুজন পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে মানবপাচারের এই চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদর, যশোরের অভয়নগর ও বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।