বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাই জোরারগঞ্জ থেকে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এ সময় মুক্তিপণ আদায়চক্রের মূলহোতা মো. মামুনকে (৩৭) র্যাব আটক করে পুলিশে দেয়। সোমবার (১ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় ভুজপুর থানার রহমতপুর এলাকা থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়।
আটক মামুন মিরসরাইয়ের করেরহাট থানার আব্দুল ছোবহানের ছেলে।
মঙ্গলবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী জোরারগঞ্জ থানার অর্থনৈতিক অঞ্চল মডার্ণ সিনটেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেখানে চাকরির সুবাধে মামুন এবং জসিমের সাথে তার পরিচয় হয়। গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় জসিম তাকে ফোন করে করেরহাট এলাকায় যাওয়ার জন্য বলে। জসিম ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ভুক্তভোগী তার সাথে দেখা করার জন্য রওনা দেয়। ভুক্তভোগী করেরহাট এলাকায় পৌঁছলে সেখানে অপেক্ষমান একটি সিএনজি অটোরিক্সার চালক তাকে সিএনজিতে করে ভুজপুরের কৈলারছড়া এলাকায় জসিমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমান আসামি আল মামুন এবং অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সহযোগী ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে ভুজপুর থানার ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি অজ্ঞাত এলাকায় নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন করে।
পরে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভুক্তভোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়া অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার পরিবারের লোকদের মোবাইলের মাধ্যমে শুনাত। ভুক্তভোগীর পরিবার র্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
নূরুল আবছার আরও বলেন, এ ঘটনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১ মে) ভুজপুর থানার রহমতপুর এলাকা থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণ মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূলহোতা মো. মামুনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে। আটক আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম