24 C
আবহাওয়া
১১:০০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ইসলামে রোজার ফজিলত

ইসলামে রোজার ফজিলত

পবিত্র রমজান

বাংলাদেশে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে রবিবার। শনিবার(২এপ্রিল) রাতে তারাবীহ নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। পবিত্র এ মাস মানুষের মাঝে ফিরে আসে তার আত্মশুদ্ধি আর তাকওয়া বৃদ্ধির জন্য। রমজান মানুষকে সংযমী হতে শেখায়, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করে। গরীবের কষ্ট উপলব্দিতে রোজা অসামান্য ভূমিকা পালন করে।

যারা খুলুছিয়াতের সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা পালন করে তাদের জন্য মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বিশেষ পুরস্কারের ঘোঘণা দিয়েছেন মহান আল্লাহতায়ালা।

রোজার ফজিলত পবিত্র আল কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও পবিত্র হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। যা মুমিন ব্যক্তির জন্য রোজা পালনে উৎসাহ প্রদান করে।

মহান আল্লাহতায়ালা সূরা বাক্বারা- ১৮৩ নং আয়াতে বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করো’।

“যে কেউ রামাদ্বানের রোজা রাখে, ঈমান ও সওয়াবের আশায়, তার বিগত জীবনের সব পাপ মাফ করে দেওয়া হয়” (বুখারী-৩৮)

“রোজা হলো (পাপাচার থেকে) রক্ষার ঢাল স্বরূপ। তাই তোমাদের কেউ রোজা রাখলে অশ্লীল কথা বলবে না, চিৎকার ঝগড়াঝাঁটি করবে না। যদি কেউ তাকে(রোজাদার) গালি দেয় বা তার সঙ্গে মারামারি করে, তাকে বলবে, আমি তো রোজাদার! আমি তো রোজাদার!” (বুখারী-১৮৯৪)

‘‘আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- মানুষের প্রতিটি ভাল কাজ নিজের জন্য হয়ে থাকে, কিন্তু রোজা শুধুমাত্র আমার জন্য, অতএব আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব।” (বুখারী-১৯০৪)

‘‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন- মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কেননা রোজা শুধুমাত্র আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দিবো।” (মুসলিম-১১৫১)

‘‘রোজা ঢাল স্বরূপ। এ দ্বারা বান্দা তার নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারে।’’ (আহমাদ-১৫২৯৯)

‘‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন রোজা পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন” (বুখারী-২৮৪০; মুসলিম-১১৫৩)

“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও নেকীর আশায় রামাদ্বান মাসে ক্বিয়াম করবে (তারাবীহ পড়বে) তার পূর্বেকার পাপ সমূহ মাফ করে দেয়া হবে” (বুখারী-৩৫; মুসলিম-৭৬০)

“যে ব্যক্তি মিথ্যা পরিত্যাগ করলো না, আল্লাহ তা’য়ালা তার পানাহার ত্যাগ কবুল করেন না” (বুখারী-১৯০৩)

“রোজা পালনকারীর জন্য দু’টো বিশেষ আনন্দ মুহূর্ত রয়েছে – একটি হল ইফতারের সময়, আর দ্বিতীয়টি হল তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়” (বুখারী-৭৪৯২)

‘জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়্যান। কিয়ামতের দিন শুধু রোজা পালনকারীরা ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজা পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবেন। ঐ দরজা দিয়ে রোজাদাররা প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে তারা ব্যতীত অন্য কেউ আর সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে ঢুকতে পারবেনা’ (বুখারী-১৮৯৬; মুসলিম-১১৫২)

Loading


শিরোনাম বিএনএ