বিএনএ, চট্টগ্রাম: আজ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে দেশের এইডস–সংক্রান্ত নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্ব এইডস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি যাবে চলে’। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চসংখ্যক এইচআইভি রোগী সনাক্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিভাগ হিসেবে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চসংখ্যক এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ২০২৪-এ প্রায় ১৫০ জন নতুন করে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আর প্রায় ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা এইডসের চিকিৎসা নিচ্ছেন। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল, কক্সবাজার কারাগার ও আইওএম ক্লিনিকের মাধ্যমে তারা এ চিকিৎসা পাচ্ছেন।
চমেক হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে (নভেম্বর-২৩ থেকে অক্টোবর-২৪) এ সেন্টারটিতে সর্বমোট ৩ হাজার ৮১৭ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৮৪ জনের এইডস শনাক্ত হয়। এসব রোগীর মধ্যে ৬১ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী।
এছাড়া একই সময়ে এইডসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। চিকিৎসকরা বলছেন, চট্টগ্রামের এইচআইভি আক্রান্ত প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত। যাদের মধ্যে ওমান, দুবাই, আরব আমিরাত প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে এইচআইভি সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে পুরুষ যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এরপর আছেন শিরায় মাদক গ্রহণকারী ও নারী যৌনকর্মী। একসময় এই জনগোষ্ঠীর মধ্যেই এইচআইভি বেশি হতো। এখন তাদের মধ্যে সংক্রমণ কমে আসছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, হিজড়া, সমকামী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি শনাক্তের প্রবণতা বেশি। কারণ তারাই বেশিরভাগ সময় বৈষম্যের শিকার হন। এই বৈষম্য স্বাস্থ্য সেবায়ও প্রকট। কুসংস্কার, ভয় ও লজ্জার কারণে যেন এই ব্যক্তিরা চিকিৎসা সেবা থেকে হারিয়ে না যান, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তা না হলে তাদের মাধ্যমে নতুন ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারে।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/এইচমুন্নী