বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে খুন হওয়া সাত বছর বয়সী শিশু কন্যা আলিনা ইসলাম আয়াতের দুই পায়ের পর এবার তার খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরের আকমল আলী ঘাটের স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার যে স্থানে আয়াতের খণ্ডিত পা দুটি পাওয়া গেছে, তার কাছাকাছি স্থানে প্যাকেটে মোড়ানো মাথাটি মিলেছে। স্লুইচগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে বিচ্ছিন্ন মাথাটি পাওয়া গেছে। আবির আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবেই কচটেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া যায়।
আয়াত ইপিজেড থানার নয়ারহাট ওয়াছমুন্সী বাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। তাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবীরের পরিবার।
মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণ করে আবির আলী। গত ১৫ নভেম্বর আরবি পড়তে যাওয়ার সময় বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার মসজিদের পাশ থেকে আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে আবির। পরে লাশ আকমল আলী সড়কের নিজ বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। লাশের টুকরো দুটি বস্তায় করে ইপিজেড বেড়িবাঁধ এলাকায় বঙ্গোপসাগর ও স্লুইসগেট এলাকায় ফেলে দেয়।
পড়ুন এর আগের নিউজ : আয়াতের শরীরের খণ্ডাংশ উদ্ধার
শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরা করে খুনি
ঘটনার দিন আয়াতকে না পেয়ে তার বাবা ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ছায়া তদন্ত করে পিবিআই। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবিরকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার রাতে আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আবিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আবির রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকার আজমল আলীর ছেলে।
গত সোমবার আবীর আলীকে দ্বিতীয় দফায় আরও সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই। এর আগে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশ কোথায় ফেলেছে তা নিজেই গিয়ে দেখিয়ে দেয় আবির। পরে খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে তল্লাশি শুরু করে পিবিআই। এ ঘটনায় আবির আলী ছাড়াও তার বাবা-মা ও ছোট বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম,জিএন।