বিএনএ, রাউজান (চট্টগ্রাম): রাউজানে আমনের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।।এখন ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ১১ হজার ৮শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে ।
হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর, বৃকবানুপুর, বানারস, জানিপাথর, গলাচিপা, এয়সিন নগর, সিংহরিয়া, হলদিয়া, পুর্ব ক্ষিরাম, গর্জনিয়া উত্তর সর্তা, ডাবুয়া ইউনিয়নের রাধামাধবপুর, পুর্ব ডাবুয়া, কেউকদাইর, সুড়ঙ্গা, হিংগলা, মেলুয়া, কলমপতি, দক্ষিন হিংগলা, গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর, রাউজান পৌরসভার পুর্ব রাউজান, পশ্চিম রাউজান, আইলী খীল, ওয়াহেদের খীল, জঙ্গল রাউজান, ঢেউয়া পাড়া, ছত্র পাড়া সাহানগর, দলিলাবাদ, সাপলঙ্গা, শরীফ পাড়া, রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান, রশিদর পাড়া, জয়নগর বড়ুয়া পাড়া, চেহেরী খীল, মুখছড়ি, চিকনছড়া, রানি পাড়া, কেউটিয়া, শমশের নগর, কদলপুর ইউনিয়নের কালকাতর পাড়া, শমশের পাড়া, দক্ষিন শমশের পাড়া, ভোমর পাড়া, দক্ষিন জয়নগর, কমলার টিলা, পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়া এলাকার ফসলী জমিতে আমন ধান পাকছে । এসব এলাকায় পাকা আমন ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকেরা ।
রাউজানের অন্যান্য এলাকায় ফসলী জমিতে আমন ধান পাকতে আরো একমাস সময়ের প্রয়োজন হবে বলে এলাকার কৃষকেরা জানান ।
রাউজানের কলমপতি এলাকার কৃষক সেলিম এবার আমন ধানের মৌসুমে ৬ একর ফসলী জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন বলে জানান। কৃষক সেলিম বলেন, তার চাষাবাদের জমিতে আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে । প্রতি একর আমন ধানের চাষাবাদে কৃষক সেলিমের খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা । ফসলী জমি থেকে যে পরিমান আমন ধান পাওয়া যাবে তার খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুন লাভ হবে বলে কৃষক সেলিম জানান ।
রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেন, রাউজানে এবার ১১ হাজার ৮শত ৭০ হ্ক্টের জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে । তার মধ্যে উফশী জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৫শত ১০ হেক্টর। হাইব্রীড জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে ১শত ৭০ হেক্টর। স্থানীয় জাতের চাষাবাদ হয়েছে ১শত ৯০ হেক্টর জমিতে । আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে । রাউজানের উঁচু এলাকার ফসলী জমিতে আমন ধান পাকার পর এলাকার কৃষকেরা পাকা আমন ধান কাটা শুরু করেছে । এ পর্যন্ত পাকা আমন ধানের মধ্যে ২শতাংশ ধান কেটেছে কৃষকেরা ।
নিচু এলাকার ফসলী জমির আমন ধান পাকতে আরো সময় প্রয়োজন হবে । রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় পাকা আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে কৃষকেরা ।
বিএনএ/ শফিউল আলম , ওজি