বিএনএ ক্রীড়া ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩০ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। আর এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড পুনরায় স্পর্শ করেছে কিউইরা।
যে স্পিন ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্রিকেটের যেকোন ফর্মেটে কিউইদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ সেই স্পিন দিয়েই বোলিং শুরু করে তারা। বাঁহাতি অর্থোডক্স এজাজ প্যাটেলের প্রথম ওভারে ১ রানের বেশী তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত টাইগারদের জয়ও আটকে রাখতে পারেনি সফরকারীরা।
সাকিবের দায়িত্বশীল ২৫ রান আর মাহামুদুল্লাহ-মুশফিকের জুটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। তবে, নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ৭ রানের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস। পরে খেলা ধরেন অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। তাতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় টাইগাররা। তবে হঠাৎ ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। এ পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিক। সেইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। মুশফিক ১৬ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এজাজ প্যাটেল, রাচিন রবীন্দ্র নেন ১টি করে উইকেট।
এরআগে বুধবার(১ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট শিকার করে টাইগাররা। মেহেদির ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে অভিষিক্ত রাচিন রবিন্দ্র শূন্য রানে ফিরে যান। ওভারের তৃতীয় বলে তাকে ফিরতি ক্যাচ বানান টাইগার অফস্পিনার। এরপর তৃতীয় ওভারে এসে উইল ইয়ংকে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ওভারে গ্র্যান্ডহোম এবং ব্লান্ডেলকে তুলে নেন নাসুম।
আশার আলো দেখিয়ে বিদায় নেয় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। দলের রান যখন ৪৩ তখন সাইফউদ্দিনের বলে ২৫ বলে ১৮ রান করা ল্যাথাম । এরপর ৪৫ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সাইফউদ্দিনকে তুলে মারতে গিয়ে লং-অনে ধরা পড়ে ফিরতে হয় হেনরি নিকোলসকেও। ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর এজাজ প্যাটেল, ডগ ব্রেসওয়েলও সুবিধা করতে পারেননি। ফলে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ৬০ রানেই শেষ হয় কিউইদের ইনিংস।
টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। দুই উইকেট করে পেয়েছেন, সাকিব, নাসুম ও সাইফউদ্দিন। এক উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান।
এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিলো দলটি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি