25 C
আবহাওয়া
১২:৪৮ অপরাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৪১ (জামালপুর-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৪১ (জামালপুর-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল সংসদীয় আসন-১৪১ (জামালপুর-৪)

বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে জামালপুর-৪ আসনের হালচাল।

YouTube player

জামালপুর ৩নং আসন

জামালপুর-৪ সংসদীয় আসনটি সরিষাবাড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১৪১ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আব্দুস সালাম তালুকদার বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫ শত ৭৭ জন। ভোট প্রদান করেন ৮২ হাজার ৯ শত ৪১ জন। নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সালাম তালুকদার বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ১ শত ৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মতিয়ার রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৩ হাজার ৬ শত ১১ ভোট।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই আসনে নির্বাচন পণ্ড হয়ে যায়। ফলে নির্বাচন কমিশন কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করেনি। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫ শত ১২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শত ১৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৩ হাজার ৩ শত ৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আব্দুস সালাম তালুকদার। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ৬ শত ৬৯ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আনোয়ারুল কবির তালুকদার বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১০ হাজার ৩ শত ২৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৪ শত ৭৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির আনোয়ারুল কবির তালুকদার বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৯ হাজার ৪শত ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭০ হাজার ৬২ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মুরাদ হাসান বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭ শত ৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫ শত ১২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মুরাদ হাসান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৬ হাজার ৪ শত ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোহাম্মদ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৫ হাজার ৯ শত ৫৫ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: জাতীয় পার্টির মামুনুর রশীদ জোয়ারদার বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ শত ৭৪ জন। ভোট প্রদান করেন ৬৭ হাজার ২ শত ৩৯ জন। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মামুনুর রশীদ জোয়ারদার বিজয়ী হন। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪৯ হাজার ২ শত ৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনএফ-এর সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল। টেলিভিশন প্রতীকে তিনি পান ১৭ হাজার ১ শত ২৪ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মুরাদ হাসান বিজয়ী হন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৭ শত ৪৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬ শত ১৪ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মুরাদ হাসান, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মোহাম্মদ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফ এর মোস্তফা বাবুল, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলী আকবর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মুরাদ হাসান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ১৭ হাজার ১ শত ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১ হাজার ৫ শত ৯৩ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি, সপ্তম, নবম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ এবং দশম সংসদে জাতীয় পার্টি বিজয়ী হয়। ১১ দিনের ষষ্ঠ সংসদে কেউ বিজয়ী হয়নি।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর জামালপুর-৪ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, জামালপুর-৪ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৪.০১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪০.৫২%, বিএনপি ৫৫.৬৪%, জাতীয় পাটি ০.৯৫%, জামায়াতে ইসলামী ১.৭০%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.১৯% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৪.৮৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫১.৪৮%, বিএনপি ৪৫.২২%, জাতীয় পাটি ১.৯৯%, জামায়াতে ইসলামী ০.৯৬ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৩৫% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৬.৭৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৩.৩৯%, বিএনপি ৫৫.৩৭%, জাতীয় পার্টি ০.৪৮%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৭৬% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৯.০৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৮.৬৫ %, ৪ দলীয় জোট ৪০.০৮%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.২৭% ভোট পায়।

জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের অশ্লীল ভাষার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এই ঘটনায় তিনি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সম্প্রতি তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিতভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। তিনি আবারও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

এছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন সাবেক অধ্যক্ষ ও ঢাকা তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ, সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা চল্লিশ বছরের সভাপতি, প্রয়াত আব্দুল মালেক এমপির ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল, সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা আনিসুর রহমান এলিন।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা ও জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন ২০১৪ সালের দশম সংসদের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ জোয়ারদার, সরিষাবাড়ি উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, বিএনএফ থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল। তিনি দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর এ আসনটি চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি, একবার কমিউনিস্ট পার্টি ও একবার জাতীয় পার্টি দখলে রেখেছে। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে খ্যাতি থাকলেও অন্তদলীয় কোন্দল বছরের পর বছর অব্যাহত রয়েছে। কোন্দল এতটা প্রকট যে, ২০১৪ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তার ওপর যুক্ত হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং ইমেজ সংকট। এবার তার মনোনয়ন অনিশ্চিত।

অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম কাগজে কলমে। রয়েছে জনপ্রিয় প্রার্থী সংকট ও কোন্দল। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা সুসংহত এবং দলীয় কোন্দল নেই। রয়েছে দলের একক প্রার্থী। সব মিলিয়ে এই আসনে নির্ভার রয়েছে বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১৪১তম সংসদীয় আসনটিতে বিএনপি বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। অন্যদের জানার সুযোগ দিন। প্রতিদিন ধারাহিকভাবে প্রচারিত আসনভিত্তিক গবেষণামূলক প্রতিবেদনগুলো দেখুন এবং নিজের রাজনৈতিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। লাইক, কমেন্ট, ও সাবস্ক্রাইব করে ‘বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর’ এর সঙ্গে থাকুন।

বিএনএনিউজ/শিরীন,ওয়াইএইচ,বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ