বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার পর জামিনে এসে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফখরুল ইসলাম (৫৬) নামে এক আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ফখরুল ইসলাম সদর উপজেলার ফকিরাকান্দা বয়রা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি সৈয়দ আনোয়ারুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আসামী ফখরুল ইসলাম ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ওরফে তানিয়াকে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলায় ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালত ফখরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ওই মামলায় নিজেকে অপ্রকৃতিস্থ (পাগল) দেখিয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ফখরুল আবারও ২০১২ সালের ২৬ মার্চ বিকালে বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা প্রথম স্ত্রী শিরিনাজ বেগমকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
তিনি বলেন, এরপর ফখরুল আবারও নিজেকে অপ্রকৃতিস্থ দাবী করে। পরে আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে সুস্থ বলে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ২০০১ সালের মামলার ঘটনার সময় সে অপ্রকৃতিস্থ ছিল বলে দাবি করেন। পরে আদালত তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠান। তবে, ওই হাসপাতালেও তাকে সুস্থ বলে ভর্তি না করে ফেরত পাঠায়।
যেহেতু, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অবস্থায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামী দ্বিতীয় বার একই ধরনের অপরাধ করে। তাই ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ৩০৩ ধারায় নির্ধারিত বিধান অনুসারে একমাত্র শাস্তি মৃত্যদণ্ডাদেশ প্রদান করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া। আসামিপক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন মোকাম্মেল হক শাকিল।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান, ওজি/ হাসনাহেনা
