24 C
আবহাওয়া
১০:৩৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ৭ বছর

হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ৭ বছর

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি

আদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি(Holey Artisan Bakery)তে জঙ্গি হামলার সাত বছর আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই করা ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন। ওই ঘটনায় করা মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত। তবে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে মামলাটি ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে। যদিও চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধান বিচারপতি মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

হাইকোর্টে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে রয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। তাঁর সঙ্গে আছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাশ, সৈয়দা শবনম মোস্তারি ও মো. তরিকুল ইসলাম হিরা। নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বশির আহমেদ বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে চারজন আপিল করেছেন। আর তিনজনের জেল আপিল। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দিন মামলাটির শুনানি হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ‘এখন আসামিপক্ষ থেকে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি তদারকি করছেন। আশা করছি চলতি জুলাই মাসেই শুনানি শেষ হবে। এরপর রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।’ তবে বিচারিক আদালতের রায় যাতে বহাল থাকে, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা।

কূটনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিত গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি(Holey Artisan Bakery)তে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় জঙ্গিরা হত্যা করে ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে, যাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলায় ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই চার্জশিট দাখিলের পর ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচারকাজ। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আদালত হামলায় জড়িত থাকার দায়ে ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী তা পাঠানো হয় হাইকোর্টে। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পান আসামিরা। সে অনুযায়ী এই মামলার নথি উচ্চ আদালতে আসে এবং আপিল করেন আসামিরাও। নথি এলে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়।

পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে বিজি প্রেস থেকে ফেরত এলে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। হাইকোর্টের রায়ের পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আপিল নিষ্পত্তির পর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে আসামি চাইলে সবশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা সেই আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।

বিএনএনিউজ২৪, শহীদুল ইসলাম, এসজিএন/এইচ এইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ