বিএনএ,চট্টগ্রাম: গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে অসহ্য পরিস্থিতিতে বাতাসসহ বজ্রবৃষ্টির দেখা পেয়েছে চট্টগ্রামবাসী। টানা পাঁচ মাসব্যাপী খরা-অনাবৃষ্টি ও অসহনীয় তাপদাহের পর এই প্রত্যাশিত বৃষ্টি ও হিমেল শীতল বাতাসে বিশেষ করে মাহে রমজানে এবং করোনাকালে জনজীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
শনিবার (১ মে) ভোর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ছিল ঝড়ো হাওয়া, বিদ্যুত চমকানো ও বজ্রপাত। শিশুদের মাঝে হঠাত ভীতির সঞ্চার করলেও এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।
চট্টগ্রামে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে আকাশ সাময়িকভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম (নগর), কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবানসহ পার্বত্য এলাকাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি আকারে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, শুক্রবার চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীতেও নামে স্বস্তির বৃষ্টি। সে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া, বিদ্যুতের ঝলকানি ও বজ্রপাতও ছিল। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টা নাগাদ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। টানা আধা ঘণ্টার বেশি সময় বৃষ্টিতে স্বস্তি পায় রাজধানীবাসী।
বিএনএনিউজ/মনির