বিএনএ,কক্সবাজার:মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।যেকোন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় জোরদার করা হয়েছে টহল-নজরদারি।
কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান,সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।মায়ানমারে অভ্যুত্থানের কোনো ধরনের প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্তে পড়েনি।
বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যেকোনও দেশের সঙ্গেই সীমান্ত এলাকায় সবসময় নিরাপত্তা জোরদার থাকে।এ বিষয়েও তাই ঘটেছে। অভ্যুত্থানের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এদিকে,দেশটিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের খবর মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। প্রত্যাবাসন নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা খানিকটা জোর পাওয়ায় কিছুটা আশার আলো ছড়ালেও, মায়ানমারে ক্ষমতার পালাবদলে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় তা নিয়েও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে তারা।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে মায়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে।দেশটির সেনারা অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করে। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবদমাধ্যম আল জাজিরা।
সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাং-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে বিতর্কিত নির্বাচনের পরে বেসামরিক সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পরে এই অভ্যুত্থানটি ঘটল।
বিএনএনিউজ/আরকেসি