36 C
আবহাওয়া
৭:৩৬ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যাঃ এসপি মাসুদ,ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের ফোনালাপ

সিনহা হত্যাঃ এসপি মাসুদ,ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের ফোনালাপ

সিনহা হত্যাঃ এসপি মাসুদ,ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের ফোনালাপ

বিএনএ, ডেস্ক :মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে সিনহা হত্যাকাণ্ড মামলার  বিচারিক কাজ। এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে। এর আগে হত্যা কিংবা ফৌজদারি কোনো মামলায় এত বিপুল সংখ্যক সাক্ষি নেওয়ার নজির নেই। নজির নেই এত স্বল্প সময়ে চার্জগঠন, শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনেরও।

ফ্ল্যাশব্যাক 

টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর (অব.) সিনহাকে গুলি করার ঘটনা ঘটে ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে। সিনহা সেখানে পৌঁছালে লিয়াকত পরিচয় জানতে চান। সিনহা গাড়ির ভেতর থেকে নিজের পরিচয় দেন। লিয়াকত তাকে হাত ওপরে তুলে বেরিয়ে আসতে বলেন। সিনহা বেরিয়ে আসার পরপরই লিয়াকত তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিনহাকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে ওসি প্রদীপ সেখানে এসে সিনহাকে লাথি মারেন। প্রায় পৌঁনে এক ঘণ্টা পর একটি ট্রাকে তুলে সিনহাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পথে তিনি মারা যান।

মাসুদ-প্রদীপ- লিয়াকতের  ফোনালাপ
‘একজনকে ডাউন করেছি, একজনকে ধরেছি স্যার।’ সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার পর এভাবে পুলিশ সুপারকে ঘটনা জানান পরিদর্শক লিয়াকত আলী। রাত ৯টা ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের দিকে এসআই লিয়াকত এবং প্রদীপ দাশ পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে ফোন করেন।
প্রদীপ: আদাব, স্যার

মাসুদ: কী, আপনি এমন কি হইছে, বলেন
প্রদীপ: স্যার, লিয়াকতরে গুলি করছে নাকি স্যার, আমি যাচ্ছি ওখানে
মাসুদ: কে?

প্রদীপ: ঐ যে স্যার লিয়াকত স্যার ইয়াতে, চেকপোস্টে
মাসুদ: হ্যাঁ

প্রদীপ: একটা গাড়িকে সিগন্যাল দিছে, সিগন্যাল দেয়ার পরে গাড়ি থেকে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করছে। ওই সময় আমি তাকে বললাম, ঠিক আছে তুমিও তাড়াতাড়ি ওকে গুলি করো। সেও নাকি তাকে গুলি করছে স্যার, আমি যাচ্ছি স্যার ওখানে স্যার
মাসুদ: যান, যান

মেজর সিনহাকে গুলি করার পর এসআই লিয়াকত ফোন করেন এসপি মাসুদকে।
লিয়াকত: আসসলামু আলাইকুম, স্যার

মাসুদ: বলো

লিয়াকত: এখানে একটা প্রাইভেট কার আছে স্যার, ঢাকা মেট্রো লেখা। আর্মির পোশাক টোশাক পরা। তাকে চার্জ করছি, সে মেজর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে চলে যেতে চাইছিলো। পরে অস্ত্র তাক করছিলো, আমি গুলি করছি স্যার। একজন ডাউন করছি, আরেকজন ধরে ফেলছি স্যার। স্যার আমি কি করবো স্যার? আমাকে পিস্তল তাক করছে, পিস্তল পাইছি তো স্যার।

মাসুদ: আচ্ছা, ঠিক আছে, তোমারে গুলি করছে, তোমার গায়ে লাগে নাই, তুমি যেইটা করছো, সেটা তার গায়ে লাগছে।

পুলিশ আটক করার পর সিফাত যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও দুই পক্ষের অস্ত্র তাক করার তথ্য নেই। প্রকাশ পাওয়া সিফাতের একটি জবানবন্দিতে দেখা গেছে, তিনি বলেছেন, পথ আটকানোর কারণে সিনহা রাশেদ রেগে যান। তবে তিনি অস্ত্র নিয়ে গুলি করা তো দূরের কথা গুলি তাকও করেননি। সিফাত বলেন, ‘লিয়াকত সাহেবের সঙ্গে ডিবির দুই লোক ছিল। বাকিরা ইউনিফর্মে। পুলিশ রাগারাগি করে সিনহা ভাইকে গুলি করে। তখন আমরা সামনের দিকে যাচ্ছিলাম।’

বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ