30 C
আবহাওয়া
১২:০৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিরসরাই বিএনপিতে বির্তকের ঝড়

মিরসরাই বিএনপিতে বির্তকের ঝড়

বিএনপি

বিএনএ,  মিরসরাই: মিরসরাইতে শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে  বিএনপিতে চলছে তুমুল তর্কযুদ্ধ। অপরদিকে বিক্ষোভে অংশনেয়া কর্মীসমর্থকদে উপর চলছে সরকারি দলের অতর্কীত হামলা।

অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রিয় নির্দেষ অমান্য করে এক পক্ষকে বাদ দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উত্তর জেলা বিএনপির ৫ যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান নরুল আমিন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পরবর্তী গত দুই দিনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংঙ্গঠনের  অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী সরকার দলিয় নেতাকর্মীদের রোশালনের শিকার হয়েছেন। এর দায় ও তাকে নিতে হবে বলে জানান উত্তর জেলা বিএনপির ৩ নং যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাইদুল ইসলাম চৌধুরী।

উত্তরজেলা বিএনপির ৩নং যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন অভিযোগ করে বলেন,  সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা বিএনপির ৫নং যুগ্ন আহ্বায়ক নুরুল আমিন কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সাথে গাদ্দারী করেছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে মিরসরাই বিএনপিকে দুই ভাগ করে দিয়েছেন। যে সময় মানুষ ঘুমে থাকে সেই সময় আমাদের নেতা কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলও সমাবেশ করেছেন। তার মাত্র দুই দিন আগে আমরা সম্মিলিত ভাবে একটি প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছি। সেখানে সিদ্যান্ত হয়েছে আমরা যৌথ ভাবে সম্মিলিত ভাবে মিরসরাইয়ে আন্দোলন করবো, বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ করবো। কিন্তু তিনি আমাদের কে না জানিয়ে মিরসরাই বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশাল অংশকে না জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এতে তিনি মিরসরাই বিএনপির মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি করেছেন। এতে বিএনপির ভিতকে দূর্বল করবে মিরসরাইতে। বিক্ষোভ মিছিলের পরে গত ২ দিনে সরকার দলিয় নেতা কর্মীদের রোষানলে পড়ে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীও আছে। এদের দায় দায়িত্ব তো সে নিবে না।

তবে বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সরকার দলিয় নেতকর্মীরা কাউন্টার মিছিলের আয়োজন করে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিএনপি কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়েছে আহত হয়েছে প্রায় ২০জন বিএনপি কর্মী। শনিবার সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ৬ নং ওয়াড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী তাহের ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি সমর্থক খায়ের এর উপর সরকার দলিয় কর্মীরা চড়াও হয় মিরসরাই পৌরবাজারে। এসময় তাদের এলাপতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় মিঠাছড়া বাজারে এক ছাত্রদল কর্মীকে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করার অপরাধে কান ধরে উঠবস করায় ও মারধর করে।

এসময় ওই ছাত্রদল কর্মীকে আর বিক্ষোভ মিছিলে যাবো না, বিএনপি আর করবোনা বলতে বলতে কান ধরে উঠাবসা করছে এমন একটি ভিড়িও সমাজিম মাধ্যমে দেখা যায়।

মিরসরাই বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধূরী জানান, আমরা কয়েকটি প্রস্তুতি সভা করেছি সেখানে সকলের সিদ্যান্ত ছিল আমরা সম্মিলিত ভাবে আওয়ামী বিরোধি আন্দোলন সংগ্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ আগষ্ট বড়তাকিয়া বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিলের সিদ্ধান্ত হয়। একটি কথা বলা বাহুল্য যে মিরসরাই বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামকে মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্র থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রধান বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় নেতা  গোলাম আকবর খন্দকার ও সদস্য হিসেবে আছেন গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল, উত্তরজেলা বিএনপির ৩নং যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও ৫নং যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন। বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৫নং যুগ্ম সম্পাদক নরুল আমিনের সাথে পরামর্শ করা হলে তিনি এমন পরিস্তিতে বিক্ষোভ মিছিল না করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরে যখন মানুষ যার যার বাড়ি ঘরে ঘুমিয়ে আছে দোকানপাট বন্ধ সেই সময় তিনি বিএনপির একটি অংশকে নিয়ে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিরের আয়োজন করেন। যেটি সম্পর্কে বেশির ভাগ নেতাকর্মী ও সমর্থক অবগত নয়। বিক্ষোভ পরবর্তী পরিস্থিতি আপনার ভালো জানেন আমাদের কতজন নেতা কর্মী আহত হয়েছে, নির্যাতীত ও নিপীড়িত হয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে সব জানিয়েছি কেন্দ্র উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিবে।

৫নং যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, আমি কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রেখেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। ৩নং যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন বিএনপির রাজনীতিতে দেউলিয়ে হয়ে গিয়েছেন। আমি তাদেরকে জানিয়েছি তারা সরকার দলিয় রাজনৈতিক কর্মীদের ভয়ে বিক্ষোভ মিছিলে আসেনাই।

বিএনএ/আশরাফ,এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ