37 C
আবহাওয়া
৭:৪৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সীমিত পরিসরে উদযাপিত হলো বড়দিন

সীমিত পরিসরে উদযাপিত হলো বড়দিন

সীমিত পরিসরে উদযাপিত হলো বড়দিন

বিএনএ,ঢাকা:বিশ্বজুড়ে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। করোনার বিধিনিষেধ মেনে এ বছর বড়দিনের আয়োজন সীমিত রাখা হয়।ঘরোয়া আয়োজন আর ভবন-স্থাপনায় আলোকসজ্জার ভেতরে মনের আনন্দ খুজে পেয়েছেন, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গল ও শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গির্জা এবং উপাসনালয়ে ধর্মীয় আচার শুরু করা হয়।সেইসঙ্গে পরমেশ্বরের কাছে নশ্বর জীবনের নানা ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চান উপস্থিত সবাই।পাশাপাশি করোনা থেকে দ্রুত মুক্তির জন্যও অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা।

সকালে রাজধানীর কাকরাইল গির্জায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। করোনার কারণে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করানো হয় গির্জায়। সরকারি নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরে প্রার্থনায় অংশ নেন যিশু খ্রিস্টের অনুসারীরা।

কাকরাইলের সেন্ট ম্যারিস ক্যাথেড্রাল চার্চ ও তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জা দুটোই বিভিন্ন রংয়ে সাজানো হয়েছে।প্রতিকী গোশালায় তুলে ধরা হয় শিশু যিশু, মাতা মেরির মমতা। করোনার মধ্যেও বড়দিনের আয়োজনে শিশুদের ছিল বাধভাঙা উচ্ছ্বাস।

গির্জাগুলোতে প্রার্থনার জন্য আসা খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের চাওয়া, আগামি দিনে সবার জীবনে শান্তি আসুক, আবার মুক্ত বাতাসে যেন প্রাণখুলে নিশ্বাস নিতে পারে সবাই।

উৎসব উদযাপনে খিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবার ঘরেই কেকসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারির মধ্যেও বড় দিনটিকে আনন্দময় এবং রঙিন করে তুলতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর প্রায় সবগুলো অভিজাত হোটেলেই আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান। হোটেলের লবিগুলোতে বাহারী ক্রিসমাসট্রি, নয়নাভিরাম ফুলের সজ্জা অন্যরকম আনন্দের খোরাক জুগিয়েছে।

এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে, রাজধানী জুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মানবজাতিকে নানা অনাচার থেকে মুক্তি দিতে ২ হাজার বছর আগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের এক গোশালায় কুমারী মাতা মেরীর কোল আলোকিত করে আসেন যিশু খ্রিস্ট।সেই থেকে সে দিনটিকে যথাযথভাবে উদ্‌যাপন করে আসছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।

এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে যিশু খ্রিষ্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিনের বেথলেহেমের চার্চে ভোরে জড়ো হন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।প্রতি বছর এতে যোগ দেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।তবে,করোনার কারণে ইসরায়েলে বিদেশি পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় অংশ নিতে পারেননি তারা।স্থানীয় বাসিন্দা ও ধর্মযাজকদের উপস্থিতিতে চার্চের ভেতরেই সীমিত পরিসরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

করোনার নতুন দুটি ধরন শনাক্তের পর,লকডাউনের ভেতরে আছেন লন্ডনবাসী।দেশটিতে স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর হয়েছে, প্রশাসন।ফলে এবার সেখানে জমকালোভাবে উদযাপিত হয়নি বড়দিন।

ফ্রান্সের নটরডেম চার্চে গেল বছরের ভয়াবহ আগুনের পর,প্রথমবার বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করা হয়।যাতে পারফর্ম করেন ২০ শিল্পী-কলাকুশলী।কারফিউ উপেক্ষা করে বড়দিন উৎযাপনে গ্রীসের রাস্তায় ছিল মানুষের ভিড়।একই অবস্থা ইউরোপের কিছু দেশে লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্বজুড়ে কড়াকড়ির বিপরীতে হেঁটেছে রাশিয়া।বড়দিন উপলক্ষ্যে লকডাউন শিথিল করেছে, দেশটি। মস্কোতে আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্যে বড়দিন পালন করেছেন, বাসিন্দারা।রাশিয়ার হাসপাতালেও স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা রোগীদের জন্য রয়েছে বিশেষ আয়োজন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ