30 C
আবহাওয়া
১:০৪ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » গুইমারায় সোলার প্যানেল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

গুইমারায় সোলার প্যানেল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

গুইমারায় সোলার প্যানেল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

বিএনএ, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির গুইমারাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে সোলার প্যানেল বিনামূল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। দুর্গম এলাকায় সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নেয় উন্নয়ন বোর্ড।

উপজেলার গুইমারা ইউনিয়নে ৯৫০টি সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে আগামী ২৫ শে মে। হাফছড়ি ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডে ৮৫০ টি সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে ২৬ শে মে।

‘সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’-এর আওতায় হাফছড়ি ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২২২ টি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩৭ টি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৯১ টি সোলার প্যানেল পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থেকে বরাদ্দ পায়। একইভাবে গুইমারা ইউনিয়নের (১, ৫, ৯) নম্বর ওয়ার্ডের জন্য ৯৫০ টি সোলার প্যানেল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু নাম তালিকাভুক্তির জন্য উপকারভোগীদের কাছ থেকে দুই থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারদের বিরুদ্ধে।

গুইমারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য দিদারুল আলম সোলার প্যানেলের জন্য চার হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রমনি কার্বারী পাড়ার রাসেল নামের একজন অভিযোগ করেন, তার কাছেও ৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এমন অভিযোগ আরো অনেকের।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিদারুল আলম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চক্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষ যাতে সোলারের আলোতে আলোকিত হতে না পারে সেজন্য চক্রান্ত করছে। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নাই।

তিনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতেই মিথ্যে অভিযোগ।

হাফছড়ি ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য রাঙা মারামা টাকা আদায় করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা আদায়ের অভিযোগটি মিথ্যে। সোলার প্যানেল বিতরণের জন্য কোন টাকা নেয়া হয়নি।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপকারভোগীদের কাছ থেকে দুই থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কিছু করার নেই। এ পুরো বিষয়টি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের। উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ’র বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইলে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএনএনিউজ/আনোয়ার হোসেন,বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ