বিএনএ, নোবিপ্রবি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় মো. সাহাবুদ্দিনকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম ও নোবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি একই সঙ্গে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।
সোমবার (২৪ এপ্রিল ২০২৩) মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম, নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর নোবিপ্রবির পক্ষ থেকে এ অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে সফলতার সাথে রাষ্ট্রপতির মেয়াদকাল সম্পন্ন করায় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
অভিনন্দন বার্তায় নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় আপনাকে নোবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আপনার সফল নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করি। সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন যোগ্য ব্যক্তিত্বকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনার সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতায় একজন আচার্য হিসেবেও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনি পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
মো. সাহাবুদ্দিন এর ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানা যায়, ১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। শিক্ষাজীবনে ১৯৬৬ সালে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান কর্মজীবনে মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে ১৯৮০ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮২ সালে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগ দেন। তিনি যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ পদে দায়িত্ব পালন করে ২০০৬ সালে অবসরে যান। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুদক কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ পাঠ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
বিএনএ/ আব্দুল্লাহ আল মাহবুব শাফি/এইচ.এম।
