বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামে সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিইসি আরও বলেন,বিপুল পরিমাণ মানুষ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সকল প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের চেয়ে জীবন অনেক মূল্যবান।এই নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির জীবন চলে গেছে। এভাবে সংঘাত সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে এটা হতে পারে না।সংঘাত সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে, এটা হতে পারে না।প্রতিযোগিতায় নির্বাচন শুরু হবে কিন্তু সহিংসতায় শেষ হবে না। নির্বাচনে প্রতিযোগিতা সহনশীল পর্যায়ে থাকতে হবে।নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশ ধরে রাখার ব্যাপারে তাগিদ দেন সিইসি।
নুরুল হুদা বলেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে একজন প্রার্থীর পরিচয় সে প্রার্থী। সে কোন দলের, মতের, গোত্রের সেটা পরিচয় নয়। প্রত্যেককে তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় আইনি সহায়তা দেয়াটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।সকল প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায় এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে সেটি সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সিইসি বলেন, যেখানে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।ভেতরে ঢুকে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।ইভিএম একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। ধীরে ধীরে মানুষ এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।নির্বাচন উৎসবমুখর হওয়ায় মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের ধন্যবাদ জানান সিইসি।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি