38 C
আবহাওয়া
৫:১৭ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মা-বাবা-বোনকে হত্যা মামলায় মেহজাবিন ৪ দিনের রিমান্ডে

মা-বাবা-বোনকে হত্যা মামলায় মেহজাবিন ৪ দিনের রিমান্ডে

মেহজাবিন ইসলাম মুন

আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর কদমতলীতে একই পরিবারের মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২০ জুন) তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মা-বাবা-বোনকে হত্যা মামলায় মেহজাবিন
মা-বাবা-বোনকে হত্যা মামলায় মেহজাবিন

পরিবারের সবার প্রতি ক্ষোভ ও স্বামীর সাথে ছোট বোনের পরকিয়ার জের থেকে সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মেহজাবিন ইসলাম মুন (২৪)। নিহতরা হলেন- মেহেজাবিনের বাবা মাসুদ রানা (৫০),মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪২) ও মেহেজাবিনের ছোট বোন জান্নাতুল (২০)।

এছাড়া ওই বাড়ি থেকে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম (৪০) এবং তাদের ৪ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শফিকুল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে তার স্ত্রী তাকে চা দিয়েছিল। সেই চা পানের পর আর কিছু তার মনে নেই। কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, “সে (মেহজাবিন) কৌশলে বাসার সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর সবাই অচেতন হয়ে যায়। এরপরই সকলের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধে। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।”প্রাথমিক তদন্তে এটাই পুলিশ জানতে পেরেছে বলে জানান তিনি।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের (শ্যামপুর জোন) অতিরিক্ত উপ কমিশনার কাজী রোমানা নাসরিন বলেন, “গ্রেফতার মেহজাবিন শনিবার(১৯ জুন) ৯৯৯ এ ফোন করে জানায় যে সে তিনজনকে হত্যা করেছে, পুলিশ তাড়াতাড়ি না আসলে আরও দুইজনকে হত্যা করবে। এরপরেই পুলিশ সেখানে যায়।” ‘মেহজাবিনের দেওয়া’ ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ দ্রুত সেখানে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, অন্য দুজনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।মেহেজাবিনের বাবা নিহত মাসুদ রানা প্রবাসে থাকতেন। তিন মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফেরেন তিনি।

ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, “মেহজাবিনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাবা না থাকায় তার মা তাকে এবং তার ছোট বোনকে (নিহত জান্নাতুল) দিয়ে দেহ ব্যবসা করাত। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিল সে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। “তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছোট বোনকে দিয়ে ব্যবসা চলছিল। এর মধ্যে তার স্বামী ছোট বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।”

এছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ওমানে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ থেকে পরিবারের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছেন।

বিএনএনিউজ,শহিদুল ইসলাম, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ