29 C
আবহাওয়া
১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল :সংসদীয় আসন-৬৮ (পাবনা-১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল :সংসদীয় আসন-৬৮ (পাবনা-১)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল গুলোর আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে পাবনা-১ আসনের হালচাল।

পাবনা-১ আসন 

পাবনা-১ সংসদীয় আসনটি সাথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া, নাকালিয়া, নতুন ভারেংগা, চাকলা ও কৈটোলা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৬৮ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী বিজয়ী

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩১ হাজার ২ শত ৮৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫১ হাজার ১ শত ৬১ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ৭ শত ৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলাদেশের কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাঈদ। কাস্তে প্রতীকে তিনি পান ৪৯ হাজার ৯ শত ২৩ ভোট।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। এই নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে বিএনপির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাঈদ বিজয়ী

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯ হাজার ৭ শত ৫৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬ শত ৮২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাঈদ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৩ হাজার ৩ শত ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদের । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৮ হাজার ৬ শত ৫২ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী নির্বাচিত

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩ শত ৬১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৭ শত ৫৯ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯ শত ৮২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাঈদ। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯৮ হাজার ১ শত ১৩ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সামশুল হক টুকু বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫ শত ৫৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ২ শত ৮৮ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামশুল হক টুকু বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯ শত ৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৭ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের  সামশুল হক টুকু বিজয়ী

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৩১ হাজার ৯ শত ৭৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামশুল হক টুকু বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৭ হাজার ২৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে ২০০৮ সালে বহিস্কার হওয়া সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তালা প্রতীকে, তিনি পান ৪৪ হাজার ৫ শত ৭৯ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সামশুল হক টুকু বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭ শত ৬ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৫ শত ১৪ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সামশুল হক টুকু, ধানের শীষ প্রতীকে গণফোরামের অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ চৌধুরী। লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সরদার শাহজাহান, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাখাওয়াত হোসেন, ফুলের মালা প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের শরিফুল ইসলাম, কোদাল প্রতীকে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির জুলহাস নাইন, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল মতিন, আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামশুল হক টুকু বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৮১ হাজার ৮ শত ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে গণফোরামে যোগদানকারি সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ চৌধুরী। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তিনি পান মাত্র ১৬ হাজার ৪ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করেন।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পাবনা ১ (সাঁথিয়া- বেড়ার একাংশ) সংসদীয় আসনে পঞ্চম ও অষ্টম সংসদে জামায়াতে ইসলামী, ষষ্ঠ সংসদে বিএনপি এবং সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

YouTube player

 দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর পাবনা-১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৫.৩৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৩.০৩%, বিএনপি ১৬.৪২%, জামায়াতে ইসলামী ৩৬.৮৫% জাতীয় পার্টি ১১.৫৪ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.১৬% ভোট পান।
১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৪.২৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪১.৫১%, বিএনপি ৩৩.২০%, জামায়াতে ইসলামী ২৩.৯২%, জাতীয় পাটি ০.৭০%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৬৭% ভোট পান।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮১.৭৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪১.৬২%, ৪দলীয় জোট ৫৭.৬৮%, জাতীয় পার্টি ০.৫৭%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.১৩% ভোট পান।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৯০.৬৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৪.৮০%, ৪ দলীয় জোট ৪৪.৬০%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল ০.৬০% ভোট পান।
পাবনা ১ আসনের (সাঁথিয়া- বেড়া উপজেলার একাংশ) আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন।

আওয়ামী লীগ থেকে আরও মনোনয়ন চাইবেন সাথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক। বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঞ্জুর কাদের। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শরিক গণফোরাম থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন চাইবেন অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ।

নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীক দাড়িপাল্লায় নির্বাচন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসাবে মানবতাবিরোধী অপরাধে মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিব মমিন বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন চাইবেন বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল বাসেত খানও। জাতীয় পার্টি থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরদার শাজাহান আবারও মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাবনা-১ আসনটির সবচেয়ে আলোচিত মুখ অধ্যাপক ড.আবু সাইয়িদ। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তিনি এম.এন.এ নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাকসু ভিপি ছিলেন। ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সাত নম্বর সেক্টরে উপদেষ্টা ও ক্যাম্প ইনচার্জ। ১৯৭২ সালে গঠিত ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাবনা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে পাবনা জেলার গভর্নর নিযুক্ত করেন। অধ্যাপক, ডক্টর আবু সাইয়িদ বাকশালের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাকে বহিস্কার করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অধ্যাপক, ডক্টর আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগদান করেন এবং নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ওই সময়ে এ আসনটির অন্যতম দাবিদার ছিলেন ৪ দলীয় জোট সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির, মানবতাবিরোধী অপরাধে মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিব মমিন। তাকে নিয়ে এবারও চাপে আছে বিএনপি। পাবনা-১ আসনে গণফোরাম ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক সমীকরণের ওপর নির্ভর করছে অনেক হিসাব নিকেশ।

জাতীয় পার্টির তেমন সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। তবে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অবস্থা খুবই মজবুত। ভোটের লড়াইয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভোট ব্যাংক বড়ো ফ্যাক্টর এই আসনে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৬৮তম পাবনা-১ সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে কীনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বিএনএ/ শিরীন, ওজি, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ