28 C
আবহাওয়া
৭:২৪ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলাদেশী কৃষকের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

বাংলাদেশী কৃষকের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

বাংলাদেশী কৃষকের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

বিএনএ, ফেনী: ফেনীর পরশুরামে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে এক কৃষকের অর্ধগলিত মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত বুধবার মধ্যরাতে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে সমঝোতার মাধ্যমে মরদেহ ভারতে নেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় মরদেহ হস্তান্তরের কথা থাকলেও আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মরদেহটি ফেরত দেওয়া হয়নি।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানানো হয়েছে।

বুধবার ভোর রাতে পতাকা বৈঠক শেষে মরদেহটি বিএসএফ নিয়ে যায় বলে ফেনী-৪ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন সীমান্তের শূন্যরেখার ভারতীয় অংশে কাঁটাতারের ওপাশে এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পায়। স্থানীয় বাসিন্দারা মরদেহটি পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন (৪৭) বলে শনাক্ত করেন।

মেজবাহ উদ্দিন পরশুরাম পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু ব্যবসায়ে জড়িত ছিলেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সীমান্তে পড়ে থাকা এই মরদেহের বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বুধবার রাতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে ত্রিপুরার শাড়াসিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সত্য পাল উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান।

নিহত মেজবাহার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামী মেজবাহ উদ্দিন উত্তর বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। ডাক শুনে তিনি নিজ এলাকার দিকে চলে আসার চেষ্টা করলে বিএসএফের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।

বিষয়টি এলাকার লোকজন বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি ও পরশুরাম থানার পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলে মনোয়ারা জানান।

পরশুরাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব বলেন, রোববার বিকালে বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বা বিজিবিকে লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। সীমান্তে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়েছে বলে পুলিশ অবগত হয়েছে।

বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবি মরদেহ বুঝে পেলে ও পরবর্তী সময়ে পুলিশকে বুঝিয়ে দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনএ/ এবিএম নিজাম উদ্দীন, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ