24 C
আবহাওয়া
৬:২৯ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: সাতজনের জামিন নামঞ্জুর

অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: সাতজনের জামিন নামঞ্জুর

অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: সাতজনের জামিন নামঞ্জুর

বিএনএ,ঢাকা : এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের তিন মালিকসহ সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ওই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে তাদের কারাগার থেকে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাদের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন জামিনের আবেদন করেন।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। যাদের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির তিন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ ও মো. রাসেল আহাম্মেদ।

এছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ (মাস্টার) মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ (চালক) মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম। এর আগে গত ২ জানুয়ারি নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারও আগে গত ২৮ ডিসেম্বর একই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের নৌ-আদালতে নৌ-অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান স্পেশাল মেরিন আইনের ৫৬/৬৬ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ এনে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর রাত আনুমানিক ৩টায় ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাটের অনেক আগেই জাহাজে থাকা যাত্রীদের অনেকে নদীতে লাফ দেন। আগুনে কেবিনসহ সবই পুড়ে যায়। ইনচার্জ মাস্টার, ইনচার্জ ড্রাইভার ও সেকেন্ড ড্রাইভার আগুন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী পুড়ে মারা যান।

এছাড়া আনুমানিক ১৫০ জন যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নৌযানটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইফ বয়া, বালির বাক্স ও বালতি ছিল না। ইঞ্জিনরুমের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেল বোঝাই অনেকগুলো ড্রাম ও রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪.কম/সাহিদুল/এনএএম

Bnanews24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

Loading


শিরোনাম বিএনএ