31 C
আবহাওয়া
৫:২৯ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উদযাপিত

শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উদযাপিত

শেখ রাসেল দিবস

জাপানে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত

টোকিও (জাপান) :   শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস ১৮ অক্টোবর গভীর শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসার সাথে দিবসটি উদ্‌যাপন করে।

শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানব ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে, কাপুরুষ- ঘাতকের বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে অন্য সবার সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে যান শহিদ শেখ রাসেল। তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো বাবা ও বড় বোনের মতো দেশের নেতৃত্ব দিতেন,  বাংলাদেশকে নিয়ে যেতেন অনন্য উচ্চতায়। সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ রাসেলের জীবনধারা তুলে ধরতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত আহমদ।

পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ রাসেলের জীবনের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)

ঢাকা:   বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেন, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর অনেক গুণাবলী নিয়ে বেড়ে ওঠা অত্যন্ত মেধাবী ও সাবধানী কিন্তু সাহসী শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতো।

‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হচ্ছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী একথা বলেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন এবং শহিদ শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহিদ শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ হাল ধরতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারতেন। বিশ্বের ইতিহাসে নৃশংস এবং ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘাতকচক্র এদেশের উন্নয়ন- অগ্রযাত্রাকে স্তিমিত করে দেয়। ঘাতকচক্র ভেবেছিল রাসেলসহ ’৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এ বাংলায় বঙ্গবন্ধুর কোনো উত্তরসূরি থাকবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এখনো বেঁচে আছেন এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

পরে শহিদ শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টে শাহাদতবরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।   এসময় মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে একটি আদর্শ ও ভালোবাসার নাম। শেখ রাসেল অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম থেকে শহর তথা বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই সবার প্রত্যাশা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সভায় মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বক্তব্য প্রদান করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের নাম দিয়েছিলেন বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। এই নামটিকে ঘিরে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর মহৎ কোনো স্বপ্ন বা আকাক্সক্ষা ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন বিশ্ব মানবতার উজ্জ্বল দ্যুতি, নিপীড়িত মানুষের বন্ধু, বাঙালি জাতির পিতা, মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা এবং গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা। সেই ছোট্ট বয়সে শেখ রাসেল যখন টুঙ্গিপাড়ায় বেড়াতে যেতেন, সেখানে বাচ্চাদের জড়ো করতেন, খেলনা বন্দুক তৈরি করে তাদেরকে প্যারেড করাতেন। পরিবারের সহায়তায় তিনি খুদে এই বাহিনীর জন্য জামা-কাপড় ঢাকা থেকেই কিনে নিতেন, খাবারের ব্যবস্থাও করতেন। শেখ রাসেলের স্বভাব ও আচরণ ছিল অন্য আট দশজন থেকে ব্যতিক্রম, অনায়াসেই যে কেউ তার একনিষ্ঠ ভক্ত এবং বন্ধু হয়ে যেত।

মন্ত্রী ’৭৫ এর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতা উল্লেখ করে বলেন, মাত্র ১১ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সসদ্যদের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে হত্যার নির্মম শিকার হন। পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কোথাও ঘটেনি। মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা- সবার লাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে ঘাতকেরা হত্যা করে শেখ রাসেলকে। যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ-আদরে হেসে খেলে বড় হয়েছে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে তার মনের কী অবস্থা হয়েছিল! কী কষ্টই না তিনি পেয়েছিলেন! ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বুলেটের আঘাতে একবারই হত্যা করেছে, কিন্তু শিশু রাসেলকে বুলেটের আঘাতে হত্যা করার আগেই কয়েকবার হত্যা করেছে।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শেখ রাসেলের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামের মীরসরাইতে শেখ রাসেল ইনস্টিটিউট অভ্ জেনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি গড়ে তুলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেল এর জন্ম দিনে জাতি শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন করছে। শেখ রাসেলের জন্মদিন হলেও সবার সামনে বারবার ভেসে উঠছে তার মৃত্যুর স্মৃতি। শেখ রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবচেয়ে আদরের শিশু, সবার প্রিয়। মন্ত্রী বলেন, একজন শিশু কখনই কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হতে পারে না। শিশু হত্যা একটি জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ, ঘাতকরা তা করেছে। ইতিহাসের পাতার খুনিরা ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। রাসেল হত্যার বিরুদ্ধে জাতির অবস্থান চিরদিন থাকবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোন শিশুকে হত্যা করা না হয়। শেখ রাসেল হত্যার বিচার হয়েছে। কোন বাধাই এ বিচার ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।

মন্ত্রী ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এবারের শেখ রাসেল দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্ব স’।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমুহের পরিদপ্তরের রেজিষ্টার শেখ শোয়েবুল আলম, ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মালেকা খায়রুন্নেসা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় 

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ। গভীর শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসার সাথে দিবসটি উদ্‌যাপন করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, শেখ রাসেলকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র  প্রদর্শন  এবং কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শহিদ শেখ রাসেল বাঙালির শৈশবের প্রতীক।

প্রতিভাময় শিশুটি (শেখ রাসেল) ঝরে না পড়লে আজ তার ৫৭ বছর পূর্ণ হতো। দেশকে-জাতিকে দেওয়ার এটাই হতো সেরা সময়। সবদিক থেকে পরিপক্কতা আসতো। জাতি তার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শেখ রাসেলের জীবনকাল খুব সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি বাঙালি জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের আত্মত্যাগের স্মৃতি বুকে নিয়ে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জাতির অঙ্গীকার হোক-বাংলার বুকে আর একটি শিশুর জীবনও অকালে ঝরে যাবে না। প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠুক নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহিদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ উপলক্ষ্যে মন্ত্রী শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জন্মদিনের কেক কাটেন।

মন্ত্রী বলেন, মহান পিতার রক্ত শেখ রাসেলের ধমনীতে বইছিলো। শৈশব থেকেই যিনি বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার সংস্পর্শে দেশপ্রেম আর আদর্শের দীক্ষা পাচ্ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়ত দেশের জন্য যুগান্তকারী কিছু করতেন।

শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন এবং শহিদ শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহিদ শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ হাল ধরতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারতেন। বিশ্বের ইতিহাসে নৃশংস এবং ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘাতকচক্র এদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে স্তিমিত করে দেয়। ঘাতকচক্র ভেবেছিল’৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এ বাংলায় বঙ্গবন্ধুর কোন উত্তরসূরি থাকবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এখনো বেঁচে আছেন এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ।

পরে শহিদ শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় । এসময় মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন ।

কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক

ধর্মের নামে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের বিষয়ে সচেতন ও সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, মানবতার শত্রু, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এখনো বাংলাদেশে তৎপর। এখনো তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে উন্নয়নের বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। অতীতেও এই সাম্প্রদায়িক শক্তি বার বার বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির ওপর আঘাত করেছে ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে সজাগ থেকে দায়িত্বপালন করতে হবে।

ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ এর  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতা লালন করে, তাদেরকে বঙ্গবন্ধু পশুতুল্য বলেছিলেন। এই অপশক্তি ও সংকীর্ণমনা পশুদেরকে আমাদের রুখতে হবে। যেকোন মূল্যে এদেরকে দেশের মাটি থেকে নির্মূল করতে হবে। শেখ রাসেল দিবসে এটিই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের পশুতুল্য ও নর্দমার কীট বলে অভিহিত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।আলোচনাসভার আগে মন্ত্রী শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটেন এবং বিএআরসি চত্বরে তাল গাছের চারা রোপণ করেন।

রেলপথ মন্ত্রীর উপহারসামগ্রী বিতরণ

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে ভ্রমণরত শিশুদের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন। (১৮ অক্টোবর) সকালে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শিশু যাত্রীদের মাঝে মন্ত্রী এ উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন। উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল শিক্ষা উপকরণ, কেক ও কয়েক ধরনের চকলেট।

বিতরণ শেষে রেলপথমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধীরা শেখ রাসেল সহ ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়িয়েছে। শিশুদের উপহার প্রদানের মাধ্যমে শিশু রাসেলের খুনিদের প্রতি ঘৃণা জানানো ও শেখ রাসেল সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য।

বিতরণ শেষে মন্ত্রী মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে স্টেশনে দু’টি কোচে স্থাপিত ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ রেল জাদুঘর পরিদর্শন করেন।রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার সহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ উদযাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি  বিভাগ চত্ত্বরে স্থাপিত শেখ রাসেল- এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  আইসিটি বিভাগ ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এতে অংশগ্রহণ করেন । এসময় শেখ রাসেল- এর  আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি  বিভাগ ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উদ্যোগে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিএনএ নিউজ ২৪, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ