28 C
আবহাওয়া
৬:২৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চকবাজারে নিহতদের লাশ হস্তান্তরে অপেক্ষা; হোটেল মালিক রিমান্ডে

চকবাজারে নিহতদের লাশ হস্তান্তরে অপেক্ষা; হোটেল মালিক রিমান্ডে

চকবাজারে নিহতদের লাশ হস্তান্তর; হোটেল মালিক রিমাণ্ডে

বিএনএ ডেস্ক: পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরিশাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ফকর উদ্দিনকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

চকবাজারের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজীব কুমার সরকার আসামিকে সাতদিনের রিমাণ্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ভোরে কেরানীগঞ্জের শুভদিয়া এলাকা থেকে বরিশাল হোটেলের মালিককে আটক করে পুলিশ।

হোটেল মালিকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
হোটেল মালিকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আগুন লেগে ওই রেস্তোরাঁর ছয় কর্মী নিহত হন। নিহতরা হলেন, বরিশালের মোতালেব (২৬) ও বেল্লাল সরদার ৩৫, মাদারীপুরের রুবেল (২৭), কুমিল্লার শরিফ (১৫), সিলেটের স্বপন সরকার (২৯) এবং শরিয়তপুরের ওহাব আলী ওসমান (২৫)।

আগুনে মৃত্যুর ঘটনায় নিহত রুবেলের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে চকবাজার থানায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে নিহত ৬ হোটেল কর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে তাদের মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে পারলেও আইনি জটিলতা এড়াতে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে লাশ নিতে সারাদিন মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে স্বজনরা অপেক্ষা করলেও এখন বুঝে পাননি তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, মো. রানা নামে একজন ওই ভবনের মালিক। তিনি ভবনটির নিচতলার উত্তর পাশ ভাড়া দেন বরিশাল হোটেলের মালিককে। অপর পাশে নিজে দোকান নিয়ে বসেছেন। মাঝে একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। ভবনটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় প্লাস্টিকের খেলনার কারখানা ও গোডাউন রয়েছে। এই অংশের মালিক মো. নজরুল নামে এক ব্যক্তি।

প্লাস্টিক কারাখানার কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন বলেন, এক থেকে দেড় বছর আগে এ ভবন তৈরি করা হয়। ভবন নির্মাণের আগে এখানে একটি স’মিল ছিল। তিনি জানান, জমির প্রকৃত মালিক থাকেন কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায়। তিনি কাউকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেননি। তার কাছ থেকে জায়গা লিজ নিয়ে এখানে ব্যবসা করছিলেন।

নিহতের স্বজন ও রেস্তোরাঁর অন্যান্য কর্মচারীরা জানান, যখন আগুন লাগে তখন রাতের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা দোতলায় ঘুমাচ্ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, রেস্তোরাঁ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পরে ভবনে থাকা পলিথিন ও প্লাস্টিক কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া পানির ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে তাদের বেগ পেতে হয়। তবে আগুন লাগা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ