বিশ্ব ডেস্ক: বিশ্বে অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে। এ সব দেশে দিনের বেলায় প্রায় প্রকাশ্যে পানাহার বন্ধ থাকে। হোটেলসহ খাবারের দোকানসমূহ ইফতারের আগে খোলা হয় না।
কিন্তু নাইজেরিয়ার এমন একটি প্রদেশ রয়েছে, যেখানে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম রোজা না রাখলে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। রমজানের দ্বিতীয় দিনে সেখানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মূলত আফ্রিকার এই দেশটির একটি প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার ১২ প্রদেশে শরিয়া আইন চালু করা হয়। এই ১২ প্রদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এসব প্রদেশের মধ্যে একটি হলো কানো। আর এখানকার ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত এবং প্রতি বছর রমজান মাসে তারা খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে।
গত মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। গ্রেফতারের পর তারা আর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ছেড়ে দেবে না মর্মে শপথ করার পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে বিবিসিকে বলেন, আমরা মঙ্গলবার ১১ জনকে আটক করেছিলাম যার মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি চিনাবাদাম বিক্রি করছিলেন এবং তাকে তার জিনিসপত্র থেকে খেতে দেখা গেছে এবং পরে কিছু লোক আমাদের এই বিষয়টি জানায়।
তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে।
লওয়াল ফাগে বলছেন, আমরা অমুসলিমদের গ্রেফতার করি না। কারণ এটি (রোজা) তাদের পালন করার বিষয় নয়। শুধু একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করি। আর তা হচ্ছে, যাদের রোজা রাখার কথা, সেসব মুসলমানের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে ইসলামিক পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, তারা এখন থেকে রোজা রাখা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পেয়েছে এবং ‘তাদের মধ্যে কারও কারও পরিবার যেন তাদের পর্যবেক্ষণ করে, সে জন্য আমাদের তাদের আত্মীয় বা অভিভাবকদেরও ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিএনএ,এসজিএন
