33 C
আবহাওয়া
৮:৫০ অপরাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পুলিশের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ

পুলিশের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ

পুলিশের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথির অভিযোগ

বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গরু চুরি মামলার আসামী ধরতে গিয়ে রিপা আক্তার (২৫) নামে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে পেটে-পিঠে লাথি মেরে স্বামীকে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।আহত রিপা আক্তার গ্রেপ্তারকৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নবী হোসেন বলেন, সম্প্রতি এলাকায় গরু চুরি হয়। ওই গরু চুরি মামলার সন্দেহজনক আসামী আবুল হাসেম। গরু চুরির বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি।তবে তা সম্ভব হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা হয়। মামলায় আবুল হাসেমকে সন্দেহজনক ভাবে আসামী করা হয়। ওই মামলায় আবুল হাসেমকে পুলিশ ধরতে আসে। আসামী ধরতে এসে আসামী আবুল হাসেম, তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, আবুল হাসেমের বাবা-মাকে মারধর করেছে বলে জানতে পেরেছি।

অন্তঃসত্ত্বা রিপা আক্তার বলেন, পুলিশ যখন আসামী ধরতে আসে তখন স্বামী (আবুল হাসেম) ভাত খাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ তাকে মারতে মারতে টেনে হিচঁড়ে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করে। তখন আমি পুলিশের পা ধরে বলি স্যার ভাত খাওয়া শেষ হলে ধরে নিয়ে যান। ভাত খাওয়ার সময় দেন। তখন এমদাদ নামে এক দারোগা আমাকে দুটি লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে উঠে গিয়ে আবারও তাদের পা ধরে বলি স্যার ভাত খাওয়া শেষ হলে ধরে নিয়ে যান। এ সময় আবারও আমার পেটে-পিঠে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার মাথায় তিন থেকে চারটি আঘাত করে। আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি ফেরাতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে। পরে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে শ্বশুর আমাকে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আবুল হাসেমের বাবা আবুর বাশার লিটন বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ ধরতে আসে। এসময় আমার পুত্রবধু পুলিশের পা ধরে বলে ভাত খাওয়া শেষ হলে তাকে ধরে নিয়ে যান। এ সময় দারোগা এমদাদ তাকে পেটে-পিঠে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে উঠে  পুলিশের পা ধরতে গেলে আবারও তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এসময় আমরা ফেরাতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করে ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়।পরে আমার পুত্রবধু অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। আমরা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি। রিপার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসপাতালে আনার পর অবস্থা কিছুটা খারাপ দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এবিষয়ে গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এআই) এমদাদের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, আসামী ধরতে গিয়ে কাউকে মারধর করা হয়নি। তবে যেখানে আসামী ধরতে গিয়েছিল সেই জায়গাটা কর্দমাক্ত ছিল। এ সময় আসামী ধরার চেষ্টা করলে তারা দা নিয়ে আসামী ছাড়িয়ে নিতে আসে। এসময় ধস্তাধস্তি হলে ওই মহিলা পড়ে যায়। ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, শুনেছি ওই মহিলাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।

বিএনএ/ হামিমুর রহমান, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ