26 C
আবহাওয়া
৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ - মে ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তুরাগ তীরে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ

তুরাগ তীরে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ


বিএনএ, ঢাকাঃ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে দলবেঁধে মুসল্লিরা আসছেন ইজতেমা ময়দানে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতেই পুরো ইজতেমা ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে মূল পর্ব শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয়েছে আম বয়ান। ইজতেমা ময়দান প্রায় দুই মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি প্রায় সকল কাজ শেষ করেন। প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল মাঠটিকে বাঁশের খুঁটির উপর চটের ছাউনির প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মুসল্লিদের বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা মাইক। বয়ান ও দোয়া ম ছাড়া নামাজের মিম্বরও তৈরি করা হয়েছে আলাদাভাবে। দেশীয় তাবলীগের মুসল্লীদের জন্য জেলাওয়ারী আলাদা আলাদা স্থান (খিত্তা) ভাগ করা হয়েছে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অ ল থেকে মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় এমে অবস্থান নিচ্ছেন। বুধবার সন্ধ্যার আগেই প্রায় পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। টুপী-পাঞ্জাবী পড়া মুসল্লীরা বাস-ট্রাক, নৌকা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে এখনও মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে আসছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর মিয়া জানান, ৩১টি টয়লেট বিল্ডিংয়ে এক সঙ্গে ৯ হাজার মুসল্লি তাদের প্রসাব-পায়খানার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। বিআরটিসি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ইজতেমার মুসল্লিদের আনা নেয়ায় বিশেষ বাস ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা নিয়েছে। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর উপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫টি ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে আগত মুসল্লিদের পারাপার হওয়ার জন্য।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ‘প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইজতেমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত। কয়েকটি স্তরের এ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইজতেমা ঢেকে রাখা হবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন ঘটতে না পারে, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে’।

করোনার কারণে বিশ্ব ইজতেমা দুবছর বন্ধ থাকার পর এবার আগামী শুক্রবার থেকে প্রথম পর্বের ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলেমওলেমা গ্রুপের যোবায়ের পন্থী অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্বের নেতৃত্বে থাকছেন, আদি তাবলীগ জামাতের নয়া দিল্লির মুরুব্বি মাওলানা সাদ পন্থী গ্রুপের অনুসারী মুসল্লিগন।

রাজধানীর উপকণ্ঠ ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ