28 C
আবহাওয়া
১০:৫৪ অপরাহ্ণ - মে ১২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সরকার ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে–ধর্মমন্ত্রী

সরকার ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে–ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান

ঢাকা : ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সরকার ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও শিক্ষাখাতকে নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই খাতে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে চূড়ান্ত হয়েছে ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া। এ চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে একটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে গুণগতমান বজায় রেখে ঔষধ প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

রবিবার(১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বাংলামোটরে রুপায়ন ট্রেড সেন্টারে বিশ্ব ইউনানি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্‌ফ) বাংলাদেশ এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, আমাদের দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে চিরায়ত এ মেডিসিন। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৫ জুলাই এক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বোর্ড অব ইউনানি এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিন স্থাপন করার জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, এদেশে ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক রচিত হয় ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সে বছর সর্বপ্রথম ৩৩ জন ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসককে জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে নিয়োগ দিয়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ২০০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫৮টি জেলা হাসপাতাল ও ১২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভেষজ ম্যানুয়াল, ফার্মাকোপিয়া এবং ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন তৈরি ও সরবরাহ করা হয়েছে।

চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগ তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 2022 সালে ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের গুজরাটের জামনগরে স্থাপন করেছে WHO Global Traditional Medicine Centre। ইউনানি মেডিসিন সিস্টেমে ভারত বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। ভারত সরকার এই মেডিসিন সেন্টার স্থাপনে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি চিরায়ত মেডিসিনের জ্ঞানকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল সদস্য রাষ্ট্রই সুফল পাবে।

হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্‌ফ) বাংলাদেশের ‍চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মোঃ ইউছুফ হারুন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ওয়াক্‌ফ প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ