29 C
আবহাওয়া
৩:৩১ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মুফতি ইয়াহিয়া হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক

মুফতি ইয়াহিয়া হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক

হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হলেন মুফতি ইয়াহিয়া

বিএনএ চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক পদে মুফতি ইয়াহিয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুরা বৈঠক শেষে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম (মহাপরিচালক) হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে মাদ্রাসাটির প্রয়াত মুহতামিম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  মাদ্রাসার শুরা সদস্য ও ফটিকছড়ির জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদ্রাসার পরিচালক মওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী। তিনি বলেন,  বৈঠকে মুহতামিম পদে প্রথমে মওলানা আব্দুস সালাম চাটগামী, নায়েবে মুহতামিম পদে মুফতি ইয়াহিয়া এবং মঈনে মুহতামিম পদে মুফতি জসিম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ঘোষণাটি শোনানোর আগেই হার্ট অ্যাটাক করেন চাটগামী। তিনি তখন নিজ রুমে অবস্থান করছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ইন্তেকাল করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম বা মহাপরিচালক হিসেবে মুফতি ইয়াহিয়ার নাম ঘোষণা করে বৈঠক আপাতত মূলতবি ঘোষণা করা হয় বলে জানান মওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মওলানা আব্দুস সালাম চাটগামীকে ‘মহাপরিচালক, মওলানা ইয়াহইয়াকে সহকারী মহাপরিচালক ও মওলানা শেখ আহমদকে প্রধান শায়খুল হাদিস মনোনীত করা হয়। সে সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মওলানা আব্দুস সালাম চাটগামী। পরে তাকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে টানা ৩৪ বছর হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক (মোহতামিম) ছিলেন আল্লামা আহমদ শফী। দীর্ঘদিন শুধু মাদ্রাসাটি নয়, পুরো কওমি অঙনে তার একচ্ছত্র প্রভাব ছিল। পাশাপাশি মাদ্রাসাটির নায়েবে মোহতামিম ছিলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। আহমদ শফীর পরবর্তী মহাপরিচালক পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন বাবুনগরী। ২০২০ সালের ১৭ জুন এক বৈঠকের মাধ্যমে বাবুনগরীকে মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তার জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়েছিল শেখ আহমদকে। এরপর থেকে ঘনীভূত হতে থাকে মাদ্রাসটির সঙ্কট ।

একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর শফীর অব্যাহতি এবং তার ছেলে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানির বহিষ্কার দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনের সময় মাদ্রাসায় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর শফী নিজে মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং ছেলে আনাস মাদানিকেও সহকারী পরিচালক (শিক্ষা) থেকে বাদ দেন। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহমদ শফী মারা যান।

তার ইন্তেকালের পর থেকে আবারও পাল্টাতে শুরু করে হাটহাজারী মাদ্রাসার দৃশ্যপট। আহমদ শফির দাফনের দিন হাটহাজারী মাদ্রাসায় শূরা কমিটির বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আবারও শিক্ষা পরিচালক ও প্রধান শায়খুল হাদিস হিসেবে নিয়োগ এবং মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

ওই তিন সদস্যের নেতৃত্বে এতোদিন মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়েছে। এ সময়ে মাদ্রাসা অনেকটা হেফাজতের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় আহমদ শফীর শূন্যতা তেমন অনুভব করা যায়নি। তবে, গত ১৯ আগস্ট তিনি মারা যাওয়ার পর মাদ্রাসা পরিচালনায় নতুন করে সংকট দেখা দেয়। এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় নতুন করে সিদ্ধান্ত শুরু কমিটির বৈঠকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হলো।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ