38 C
আবহাওয়া
৪:৪৬ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাজধানীর অলিগলিতে বাড়ছে লোকের আনাগোনা

রাজধানীর অলিগলিতে বাড়ছে লোকের আনাগোনা

রাজধানীর অলিগলিতে বাড়ছে লোকের আনাগোনা

বিএনএ, ঢাকা : সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে রাজধানীতে রাস্তা ও অলিগলিতে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। চায়ের দোকানে জমছে আড্ডা। করোনায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। তবুও মানুষের মধ্যে নেই ভয় বা সচেতনতা।এ দিকে সরকার আবারও লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র ্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা। মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি অহেতুক বাইরে আসা মানুষজনকে করা হচ্ছে জরিমানা এমন কি সাজাও দেয়া হ”েছ।
সরকার বিধিনিষেধ ঘোষনার পর থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য। ওষুধ ও নিত্যপণ্যের কাঁচামালের দোকান ছাড়া শপিংমলসহ সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টে যানবাহন ও সাধারণ মানুষকে বাইরে চলাচলের কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন কর্মজীবী মানুষ।
সরোজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী, নিউমার্কেট, কাটাবন, শাহবাগ, সেগুনবাগিচা, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাও, শান্তিনগর, মগবাজার, কাওরানবাজারসহ এলাকা গুলোতে ও সড়কে মানুষের আনাগোনা বেড়েই চলছে। বেড়েছে রিকশা ও ইজিবাইকসহ ছোট যানবাহনের চলাচল। ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করলেও তারা বাইরে বের হচ্ছে। মিরপুর এলাকয় রিকশাচালক হামিদুর রহমান জানান, আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই। মাসে পর মাস, বছরে পর বছর এভাবে লকডাউন দিলে আমরা কি ভাবে চলমো? পেটের তাগিতে আমাদেরকে রাস্তায় বের হতে হয়। এ পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে কোন রকম সাহ্য্যা পাই নাই। সংসারে দিকে তাকিয়ে কি আর ঘরে বসে থাকতে পারি। বাধ্য হয়ে রাস্তায় আসতে হচ্ছে।
র ্যা বের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট পলাশ কুমার বসু বলেন, আইনের প্রয়োগ ও মোটিভেশনের পাশাপাশি যারা হতদরিদ্র ব্যক্তি আছেন, অনেক সময় মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করেন। তাদের মাস্ক বিতরণ করছি। তাদের উদ্বুদ্ধ করছি যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। যাদের কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই তাদের স্যানিটাইজার বিতরণ করছি। আবার অনেকেই অযথা রাস্তায় ঘোরাফেড়া করছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জরিমানা ও সাজাও দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহ.শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যদি এই লকডাউনটা কার্যকর হয়, এর ফলাফলটা কয়েকদিনের পর আমরা পাবো। আশা করি তখন সংক্রমণটা কমে যাবে। এখন অনেক মানুষ পুলিশে উপর রেগে আছেন। কিন্তুু পুলিশ সদস্যরা তাদের মঙ্গলময় কাজ করে যাচ্ছেন। তারা এটা বুঝতে চাচ্ছে না। একদিন তারা বুঝবেন। তবে আমাদের কাজ আমরা চালিয়ে যাবো।
বিএনএ/আজিজুল, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ