29 C
আবহাওয়া
৭:০৭ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পরশুরামে নদীর পাড়ে ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্বার

পরশুরামে নদীর পাড়ে ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্বার


বিএনএ, ফেনী: ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদীর পাড় থেকে ভারতীয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পরশুরাম থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) সকালে দূবলাচাঁদ এলাকার মুহুরী নদীর পাড়ে একটি গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাঁর পরনের শাড়ি গলায় প্যাঁচানো ছিল এবং একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তবে ভারত থেকে তিনি কীভাবে বাংলাদেশে এসেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

নিহত নারীর নাম আরতি রানী দাস (৫০)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা বিলোনিয়ার নামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ দাসের স্ত্রী।

পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে দূবলাচাঁদ এলাকার লোকজন ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে একটি গাছের সাথে অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেন। কাউন্সিলর আবদুল মান্নান লিটন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরশুরাম থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্বার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় গ্রামবাসী প্রথমে ওই নারীর পরিচয় জানতে না পারলেও পরে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।নিহত নারীর নাম আরতি রানী দাস (৫০) সে ভারতে ত্রিপুরা বিলোনিয়ার নামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ দাসের স্ত্রী। তার পরিচয় নিশ্চিত করেন সুরেন্দ দাসের আগের সংসারের মেয়ে প্রভারানী দাস।

প্রভারানী দাস জানান, তার মা হিরনী রানী দাস ত্রিশ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার বাবা ভারতে গিয়ে আরতি রানী দাসকে বিয়ে করে সেখানে ঘর সংসার শুরু করেন তার পর থেকে ওই পরিবারের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না।

ওই নিহত নারীর স্বামী সুরেন্দ দাস প্রায় ত্রিশ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আরতি রানী দাসকে বিয়ে করে সেখানে ঘরসংসার শুরু করেন। তার দুই ছেলে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

আরতি রানীর স্বামীর বাড়ী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। নিহত আরতি রানী দাসের স্বামী সুরেন্দ দাস মারা যান বলে জানা গেছে তবে কবে মারা গেছে তারা তা জানেন না।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আজ সকালে ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বর্তমান ঠিকানা ভারতে, কিন্তু তিনি কীভাবে বাংলাদেশে এসেছেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে নিহত ভারতীয় নারী কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনো ঘটনা তা ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছে বলে জানান ওসি

বিএনএ/নিজাম, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ